পাপুয়া নিউ গিনির পার্বত্য অঞ্চলে ৬৪টি রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পুলিশ এই তথ্য দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন উপজাতিগুলোর মধ্যে চলতে থাকা বন্দুকযুদ্ধে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের সহকারি কমিশনার স্যামসন কুয়া জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে রোববার সকালের দিকে পাহাড়ি এলাকায় অ্যামবুশের শিকার হয়েছেন এই সব লোকজন।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঝোপগুলোতে আরও মৃতদেহ রয়েছে।
সহিংসতার এই ঘটনা ঘটে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির রাজধানী পোর্ট মোর্সবাই থেকে ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ওয়াবাগ নামের একটি শহরের কাছে।
ঘটনাস্থল থেকে তোলা বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে হাত-পা বাঁধা মরদেহ। এছাড়া একটি ছবিতে দেখা যায় রক্তাক্ত মরদেহগুলোকে একটি ট্রাকে স্তুপ করে রাখা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে পাপুয়া নিউ গিনিতে বসবাসরত সিকিন, আমবুলিন ও কায়েকিন উপজাতির লোকজনের মধ্যে সংঘাতের ফলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শত শত বছর ধরে উপজাতিগুলোর মধ্যে এ ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটছে দেশটিতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের কারণে এই সংঘাত মারাত্মক প্রাণঘাতি হয়ে ওঠেছে আর সহিংসতাও বাড়ছে।
সহকারি কমিশনার স্যামসন কুয়া জানান, বন্দুকধারীরা এই হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে, যার মধ্যে রয়েছে এসএলআর, একে-৪৭, এম-৪, এআর-১৫ এবং এম-১৬ রাইফেল। এছাড়া শটগান ও হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করা হয়।
সূত্র : এএফপি











