ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জেরে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দিলেও আমেরিকার কাছেই রাশিয়ার তেল যাচ্ছে। তবে সরাসরি রাশিয়া থেকে তেল কিনছে না দেশটি। রাশিয়া থেকে কেনা অপরিশোধিত তেল শোধন করে আমেরিকা রপ্তানি করছে ভারত। এই তেল আনা হচ্ছে ‘ছায়া ট্যাংকার’ বহর ব্যবহার করে।
ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ২৪ ফেব্রুয়ারি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা দেশের একটি হয়ে উঠেছে ভারত।
জানা গেছে, শুধু গত বছরই রাশিয়ার কাছ থেকে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের অপরিশোধিত তেল কিনেছে ভারত। এরপর দেশে এনে পরিশোধন করার পর ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের তেল যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে নয়াদিল্লি।
ফিনল্যান্ডভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্স অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) তথ্য বলছে, যুদ্ধের আগে রাশিয়া থেকে ভারত যে পরিমাণ তেল কিনত, যুদ্ধ শুরুর পর দেশটি থেকে ভারতের তেল কেনা ১৩ গুণ বেড়েছে।
সিআরইএর বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত এক বছরে রাশিয়ার তেল পরিশোধন করে করে ভারত যে জ্বালানি পণ্য তৈরি করেছে, তার বড় ক্রেতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে ১৩০ কোটি ডলারের জ্বালানি পণ্য আমদানি করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলোর যে জোট রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল, সেসব দেশেরও রাশিয়ার তেল থেকে তৈরি জ্বালানি পণ্য আমদানি বেড়েছে। সিআরইএর হিসাবে, ২০২৩ সালে জোটে থাকা অন্য দেশগুলোও ৯১০ কোটি ডলার মূল্যের এসব জ্বালানি পণ্য আমদানি করেছে। আগের বছরের চেয়ে যা ছিল ৪৪ শতাংশ বেশি।











