দেশের বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রে ইসলাম ও বঙ্গীয় মুসলিম সংস্কৃতি চর্চায় বাঁধা প্রদানে প্রতিবাদ জানালো আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম-আইআইইউসির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ মার্চ) প্রতিবাদ স্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসস্ট্যান্ড মাঠে প্রোডাক্টিভ রমাদান শীর্ষক আলোচনা সভা, গণ-ইফতার ও দোয়ার আয়োজন করে দেশের অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
বাদ আছর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়। সূরা তাকওয়ীর থেকে তেলাওয়াত করেন শরীয়াহ অনুষদের কুরআনিক সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম ফরহাদ।
এছাড়া পবিত্র রমজানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ ও রমজানের সংস্কৃতি তুলে ধরতে যৌথ সঙ্গীত পরিবেশন করেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়জুল্লাহ সহ শরীয়াহ অনুষদের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা ‘মাহে রমজান এলো বছর ঘুরে, মুমিন-মুসলমানের দ্বারে দ্বারে’ এবং ‘আমার যত গুনাহ আছে মাফ করে দাও রমজানে’ এই দুটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
কুরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের পর প্রোডাক্টিভ রমাদান শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় সকলকে রমজানের শিক্ষার কথা ও রোযা ইসলামের অন্যতম ফরয বিধান একথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম ও ইফতার মাহফিল আয়োজনের বঙ্গীয় মুসলিম সংস্কৃতিতে বাঁধা প্রদানের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিবাদ জানানো হয় দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরণের এক আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার। দাবী জানানো হয় অবিলম্বে হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার।
পরিশেষে গণ-ইফতার পর্ব শুরুর আগ মুহুর্তে দেশের, ইসলামের ও দখলকৃত ফিলিস্তিনের গাজ্জা সহ গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়ার মধ্যদিয়ে কর্মসূচির মূলপর্বের ইতি টানা হয়।
এছাড়া দেশের অন্যতম শীর্ষ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের মূল অংশে এই আয়োজন করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের অনেকে আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
জানা যায়, পূর্ব অনুমতি না থাকায় ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে ক্যাম্পাসের মূল অংশে এই আয়োজনের অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে মূল ক্যাম্পাসের বাইরে আয়োজন বাস্তবায়নে প্রশাসন ও দাওয়াহ বিভাগের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হয়।