বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

চাপে পড়ে গরুর মাংসের দাম বাড়িয়েছেন ১০০ টাকা

পবিত্র রমজান মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিলেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। খলিল গোস্ত বিতানে পবিত্র রমজানের প্রথম দিন থেকে তিনি ওই দামে মাংস বিক্রি শুরু করেন। তবে ১০ রোজা শেষ হওয়ার আগেই তিনি মাংসের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি চাপে আছেন।

তিনি আরও জানান, খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে পোষাতে পারছিলাম না। লোকসানে পড়তে হচ্ছে। ক্রেতাদের ভিড় অনেক। বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।

খলিলুর রহমান জানান, এখন থেকে তাঁর দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৯৫ টাকায় পাওয়া যাবে।

বাজারে যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন খলিলুর রহমান ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রির ঘোষণা দেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ সারিতে দাঁড়িয়ে খলিল গোস্ত বিতান থেকে রমজানের শুরুর দিন থেকে মাংস কিনেছেন। গত শুক্রবার তিনি এক কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন।

লোকসানে পড়ার কারণ জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, আগে কিছুটা কম দামে গরু কিনতে পারছিলাম। কিন্তু এখন আর আগের দামে গরু পাচ্ছি না। আমার নিজের যেহেতু খামার নেই, তাই বাড়তি দামে গরুর কেনা হলে মাংসের দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকে না। আমি ভেবেছিলাম, বর্ডার খুলে দেওয়া হবে (ভারত থেকে গরু আমদানি করা যাবে)। এতে কম দামে গরু পাওয়া যাবে। সেটা করা হলে আগের দামে মাংস বিক্রি করা সম্ভব হতো। নানামুখী চাপে আছি।

তবে ‘নানামুখী চাপ’ বলতে তিনি কী বোঝাচ্ছেন কিংবা কী ধরনের চাপ আছে, তা জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, আমি এখন আর খুব বেশি কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে বলে জানান তিনি।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img