দুর্নীতি দমন কমিশন জানিয়েছে, হাসিনার আমলে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক মনোনয়নকালে তিনি কানাডার পাসপোর্টধারী তথা কানাডার নাগরিক ছিলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অনিয়মের নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও চলছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
দুদক জানায়, ‘সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তি বাংলাদেশের মনোনয়নে ডব্লিউএইচওর একটি সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর। এর ফলে বিশ্বপরিমণ্ডলে দেশের সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জোড়াল আশঙ্কা রয়েছে।’
দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রাপ্ত অভিযোগের ওপর পরিচালিত তথ্যানুসন্ধানকালে এ মর্মে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়।
দুদক জানায়, ‘বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে সফরসঙ্গী করা হয়েছে। এছাড়া সায়মা ওয়াজেদের ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে প্রদত্ত তথ্যাদি যথাযথ ছিল না। ওই মনোনয়নকালে তিনি কানাডার পাসপোর্টধারী তথা কানাডার নাগরিক ছিলেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।’
দুদক আরও জানায়, ‘২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে ডব্লিউএইচওর ৭৬তম সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে শতাধিক কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি দল উপস্থিত হয়। এক্ষেত্রে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিজের পারিবারিক প্রভাব এবং তার নিকটাত্মীয়দের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিপুল অর্থ ক্ষতিসাধন করেছেন।’
সূত্র : বাসস