শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর | ২০২৫

আরবেল ইয়াহুদের মুক্তিতে যুক্ত হলো প্রত্যাবর্তনকারীদের পথে বাঁধা তুলে নেওয়ার শর্ত

বন্দী বিনিময়ের ২য় দফায় মুক্তির কথা থাকা ইসরাইলী নারী আরবেল ইয়াহুদের মুক্তিতে যুক্ত হলো উত্তর গাজ্জায় প্রত্যাবর্তনকারীদের পথে বাঁধা তুলে নেওয়ার শর্ত।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার শর্তে পূর্বের নিয়মে তাকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানায় ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আল হিন্দি বলেন, আমরা পুনরায় নিশ্চিত করছি যে, আরবেল ইয়াহুদ বেঁচে আছে। তাকে ২য় দফায় মুক্তি না দিয়ে হামাস চুক্তিতে থাকা বন্দী বিনিময় নীতির লঙ্ঘন করছে মর্মে জায়োনিস্ট ইসরাইল যে দাবী করছে তা সঠিক নয়। কেননা আরবেল কোনো বেসামরিক নয় বরং সেও একজন ইসরাইলী বাহিনীর নারী সদস্য।

তার ভাষ্যমতে, সদ্য মুক্তি পাওয়া ৪ নারী সদস্যের সাথে তাকেও গাজ্জা সীমান্তে নজরদারি চালানোর সময় গ্রেফতার করা হয়েছিলো।

তিনি আরো বলেন, উত্তর গাজ্জায় ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনে কোনোরূপ বাঁধা সৃষ্টি না করা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত ছিলো। কিন্তু তারা সীমান্তে বাঁধা সৃষ্টি করে চুক্তির লঙ্ঘন করছে। সীমান্তে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের তারা আটকে রেখেছে। আজ তাদের উপর গুলিও বর্ষণ করা হয়েছে।

আমরা আরবেল ইয়াহুদকে চুক্তির পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী আগামী শনিবারের আগেই মুক্তি দিবো যদি তারা ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তন থেকে বাঁধা তুলে নেয়। এখন আমরা উত্তর গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের (মিশর,কাতার ও আমেরিকা) কাছ থেকে একটি বাস্তব প্রতিক্রিয়া পাওয়ার অপেক্ষা করছি।

অপরদিকে আরবেল ইয়াহুদ মুক্তি না পাওয়ায় ইতিমধ্যে চাপের মুখে পড়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। হাজার হাজার ইসরাইলী রাস্তায় নেমে তার মুক্তির দাবী জানাচ্ছে। চুক্তি অনুসরণ না করে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজ্জায় প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ায় নেতানিয়াহু ও তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে।

সূত্র: আল জাজিরা

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img