শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর | ২০২৫

গত একমাসে পশ্চিম তীরে ১০ শিশুসহ ৭০ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত একমাসে ৭০ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছে ১০ শিশুও।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

সোমবার প্রকাশিত মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরাইলের প্রাণঘাতী অভিযানে জেনিনে ৩৮ জন, তুবাসে ১৫ জন, নাবলুসে ছয়জন, তুলকারেমে পাঁচজন, হেবরনে তিনজন, বেথেলেহেমে দুইজন এবং অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে একজন নিহত হয়েছেন।

গাজ্জায় যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত মাসে ওই অঞ্চলে “আয়রন ওয়াল” নামে একটি ব্যাপক প্রাণঘাতী আক্রমণ শুরু করে। বিশেষ করে জেনিন এলাকায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের লক্ষ্য করে এই অভিযান শুরু করে ইসরাইল।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, নিহত ১০ শিশু ছাড়াও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী একজন নারী ও দুই বয়স্ক ফিলিস্তিনিকেও হত্যা করেছে।

এদিকে সোমবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্সি ইসরাইলি হামলার নিন্দা করে জোর দিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনিরা পুনর্বাসন পরিকল্পনা বা “বিকল্প আবাসভূমি” গ্রহণ করবে না।

মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেনেহ এক বিবৃতিতে বলেন, “(ইসরাইলি) দখলদার কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত এবং জাতিগত নির্মূলের লক্ষ্যে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে তাদের সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্প্রসারণ করছে।”

তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের এই বিতর্কিত নীতির কারণে শত শত লোক আহত হয়েছেন। জেনিন এবং তুলকারেম শরণার্থী শিবিরের আবাসিক ব্লকগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করার পাশাপাশি হাজার হাজার নাগরিকের বাস্তুচ্যুতি ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।

আল জাজিরা বলছে, গত রোববার ইসরাইলি বাহিনী জেনিন শরণার্থী শিবিরের ২৩টি ভবন ধ্বংস করেছে, এর ফলে চলমান অভিযানে এই শিবির থেকে প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এদিকে তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলার ফলে ওই এলাকা থেকে ৭৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে ক্যাম্পের পপুলার কমিটির প্রধান ফয়সাল সালামা আনাদোলু সংবাদ সংস্থাকে বলেন।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বা এমএসএফ সোমবার ইসরাইলি হামলার নিন্দা করেছে। সংস্থাটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, “গাজ্জায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে, বিশেষ করে জেনিন, তুলকারেম এবং তুবাসে চরম সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি অগ্রহণযোগ্য।”

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img