কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ অফিসকে পাবলিক টয়লেট ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ অফিসের পরিত্যক্ত ভবনটিতে অগ্নিসংযোগ করে এ ঘোষণা দেয় তারা। পরে রাত ১১টার দিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে, কিশোরগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগ অফিস এবং পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
দীর্ঘ ছয় মাস পর শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পরিত্যক্ত ভবনের দেয়ালে ‘পাবলিক টয়লেট’ লিখে দেয়। শিক্ষার্থী আকিব এবং স্থানীয় জনতা দাবি করেন, ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিবাদীদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশে রাখতে চান না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আশরাফ আলী সোহান এবং কিশোরগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইকরাম হোসেন এ ঘটনার প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জে আওয়ামী অফিসে ‘পাবলিক টয়লেট’ লিখে ফ্যাসিবাদ পতনের অর্ধবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে দ্রুত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। উত্তেজিত ছাত্র-জনতার উপস্থিতির কারণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিপনীবিতানগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং সড়কে যান চলাচলও সীমিত হয়ে যায়।
৫ আগস্টের ঘটনা অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ প্রায় সব শীর্ষ নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ওই দিনই সারা দেশে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।