সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদে নতুন কার্পেট বিছানো হয়েছে। তুরস্কের গাজিয়ানতেপের দক্ষ কারিগররা অত্যন্ত যত্নসহকারে এই কার্পেটগুলো তৈরি করেছেন, যাতে মসজিদের মূল স্থাপত্য ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
গত ৮ ডিসেম্বর রক্তপিপাসু বাসার আল আসাদের পতনের পর মসজিদের সংস্কার ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। এই সংস্কারের অংশ হিসেবে গাজিয়ানতেপের কারিগররা ঐতিহ্যবাহী মোটিফ ও প্রাকৃতিক রঙের সংমিশ্রণে নতুন কার্পেট তৈরি করেন, যা পরবর্তীতে দামেস্কে পাঠানো হয়।
উমাইয়া মসজিদের ৪৩ বছরের অভিজ্ঞ মুয়াজ্জিন মুহাম্মাদ বিলুন মসজিদের সংস্কার ও কার্পেট পরিবর্তন সম্পর্কে বলেন, “২০০৬ সালে সর্বশেষ কার্পেট পরিবর্তন করা হয়েছিল, যা দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার শুধু মসজিদের সংস্কারই হয়নি, বরং নতুন কার্পেটও বিছানো হয়েছে। এটি ১৮ বছর পর প্রথমবার কার্পেট পরিবর্তন।”
তিনি আরও বলেন, “এই কার্পেটগুলোর রঙ সুন্দর, নকশা দৃষ্টিনন্দন এবং ব্যবহারে আরামদায়ক। আল্লাহ যাদের শ্রম এতে যুক্ত আছে, তাদের উত্তম প্রতিদান দিন।”
মসজিদে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত ৩১ বছর বয়সী আবিলা ফাত্তা এই পরিবর্তন সম্পর্কে বলেন, “আমি এই প্রথম মসজিদে কার্পেট পরিবর্তনের সাক্ষী হলাম। আগের শাসক মসজিদের প্রতি উদাসীন ছিল এবং সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করত না। এবারের রমজান অতীতের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে।”
দামেস্কের স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মাদ আল-বাকাই বলেন, “উমাইয়া মসজিদ দামেস্কের ঐতিহ্য ও সভ্যতার প্রতীক। সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর এবারের রমজান আরও আনন্দঘনভাবে পালিত হবে।”
উমাইয়া মসজিদ ৭১৫ সালে উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ কর্তৃক নির্মিত হয় এবং এটি ইসলামী বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ।
এই মসজিদ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে সংস্কারের মধ্য দিয়ে গেছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি