সিরিয়ার বিপ্লবী সরকার প্রধান প্রেসিডেন্ট আহমদ শর’আর নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্তিমূলক ঐতিহাসিক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এই ঐতিহাসিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সকল দল ও গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন আহমদ হুসাইন আশ-শর’আ বা আবু মুহাম্মদ জুলানী।
ঐতিহাসিক এই সংলাপ থেকে বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে সিরিয়ার ভূখণ্ড ছেড়ে যাওয়ার আহবান জানানো হয়। অবৈধ রাষ্ট্রটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে উল্লেখ করা হয় যে, সিরিয়ার কোনো ভূখণ্ড দখল করে রাখার ও নিরস্ত্র এলাকা ঘোষণা করার কোনো অধিকার তাদের নেই।
এছাড়া সকলের জন্য ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা এবং সমতা নিশ্চিত করার শর্তে সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের সকলে সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠনে সম্মত হয়।এছাড়া ৬ ভাগে ভাগ হয়ে দেশের বিচার, অর্থনীতি ও রাজনীতি সহ বিভিন্ন বিষয়ের রোড ম্যাপের জন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়।
ঐতিহাসিক এই সংলাপে ধর্ম, দল, মত সকলের অংশগ্রহণ থাকলেও এতে অংশগ্রহণের আকস্মিক আমন্ত্রণের, ১ দিনেই সংলাপ শেষ করে দেওয়ার ও রাষ্ট্রের ধর্মীয় ভূমিকা থাকবে কি থাকবে না বিষয়টি উঠে না আসায় সমালোচনা করেন। গুরুত্বপূর্ণ সংলাপটির আমন্ত্রণ আরো আগে প্রেরণ করা ও আরো বিস্তৃত পরিসরে সময় নিয়ে করা উচিত ছিলো বলে উল্লেখ করেন তারা।
এছাড়া সিরিয়া বিপ্লবে বাশার সরকারের বিরুদ্ধে কুর্দিদের সশস্ত্র অংশগ্রহণ থাকায় তাদের রাষ্ট্রের বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানান বিপ্লবী সরকার প্রধান আহমদ শর’আ।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ফ্রান্সে নির্বাসিত বিরোধী রাজনীতিক জর্জ সাবরা সময় স্বল্পতার দরুন সংলাপে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সংলাপে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না উল্লেখ করে ২৩ তারিখ আমন্ত্রণ পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। তবে আহমদ শর’আর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পত্র পাওয়ায় বিস্ময়ও প্রকাশ করেন। আহমদ শর’আর সরকারের প্রতি পূর্বে দ্বিধা থাকলেও সংলাপকে কেন্দ্র করে আস্থা ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স