অবশেষে মুক্তি পেলেন যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের শরীয়াহ ও সৌদি মূল্যবোধ বিরোধী কার্যকলাপের বিরোধিতা করায় আটক হওয়া শায়েখ আব্দুল আজিজ আল ফাওজান।
শনিবার (১ মার্চ) মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, দীর্ঘ ৭ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন সৌদির অন্যতম শীর্ষ স্কলার ও ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ শায়েখ ড. আব্দুল আজিজ আল ফাওজান। যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শরীয়াহ ও সৌদি মূল্যবোধ বিরোধী কার্যকলাপ এবং শীর্ষ আলেমদের গণ-গ্রেফতারের বিরোধিতা করে টুইট বার্তা দেওয়ায় ২০১৮ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। যেসব সৌদি শায়েখ বিন সালমানের এমন কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দিচ্ছিলেন তাদেরও কঠোর সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
এতে আরো বলা হয়, বিরোধিতাকারীদের আরো অনেককেই মুক্তি দিয়েছে সৌদি সরকার। বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. হাতেম আল নাজ্জারও তাদের সাথে মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া নিওম প্রজেক্ট নিয়ে তুমুল বিরোধিতা ও প্রতিবাদ জানানো হুয়াইতাত গোত্রের ১০ জনকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অনেকে মুক্তি না পেলেও বাদশাহ সালমানের রমজান কেন্দ্রিক শাহী ফরমান অনুসারে তাদের সাজা কমিয়ে আনা হয়েছে।
শায়েখ ড. আব্দুল আজিজ আল ফাওজান সৌদির শীর্ষ আলেমদের অন্যতম এবং ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ আল ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ফিকাহ তত্ত্ব বিভাগের প্রধান প্রফেসর। সৌদি টিভির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। তিনি আমেরিকা, খ্রিস্টবাদ, ইহুদিবাদ ও ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের কট্টর সমালোচক ছিলেন।
বিন সালমান যখন তার উচ্চভিলাষী প্রকল্পের লক্ষ্যে আমেরিকা ও ইসরাইলের দিকে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করছিলেন, উদারতার নামে রক্ষণশীল সৌদি সমাজকে পশ্চিমাদের ন্যায় অসভ্য করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন, জায়োনিস্ট লবিস্টদের খপ্পরে পড়ে আব্রাহাম অ্যাকর্ড বা সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিতে যেতে সৌদি শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনছিলেন, জিহাদের শিক্ষা চেপে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলেন তখন অন্যান্য শীর্ষ আলেমদের ন্যায় তিনিও এক পর্যায়ে ক্ষোভে ফেটে উঠেন। কঠোর সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়ে বর্তমান এক্স যা ২০১৮ তে টুইটার নামে পরিচিত ছিলো পোস্ট করেন।