সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

মুসলিমদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে ভারত ভেঙে যাবে : হেফাজত ইসলাম

সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে ভারত ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা মোদি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, সংখ্যালঘু মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা দিতে ব্যর্থ হলে অচিরেই ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।

আজ রোববার (১৬ মার্চ) ভারতে এবার হোলি উৎসব পালনকালে মুসলিমদের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের নির্যাতনের চালানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন হেফাজত নেতারা।

বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, ভারতজুড়ে এবার রমজান মাসে হিন্দুদের হোলি উৎসবকালে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর চরম নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। ত্রিপল দিয়ে অসংখ্য মসজিদ ঢেকে দিয়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশে হোলির সময় ‘শান্তি রক্ষা’র নামে হাজারের ওপর নিরপরাধ মুসলিমকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা বলেন, কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা রোজাদার মুসলমানদের যেখানে পাচ্ছে সেখানেই অত্যাচার করছে। পুলিশ-প্রশাসনের সামনেই তারা কোথাও কোথাও মসজিদের গেইট ভেঙে ঢুকে পড়েছে। এমনকি হোলির রং মাখতে না চাওয়ায় মসজিদ গমনকারী একজন রোজাদার মুসলিমকে পিটিয়ে শহিদ করেছে হিন্দুত্ববাদী মব। ভারতে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে মাৎসন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করেছে হিন্দুত্ববাদী গেরুয়াধারীরা!

হেফাজত নেতার বলেন, নিজ দেশের সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ভারত নির্লজ্জের মতো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। ইতিহাস সাক্ষী— পৃথিবীর কোথাও জালিম সম্প্রদায়ের রাজত্ব বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। সুতরাং, জালিম হিন্দুত্ববাদী দানবদের পরাজয়ও অনিবার্য। অতিষ্ঠ মজলুমরা যেদিন এক হয়ে রুখে দাঁড়াবে, সেদিন জালিমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

তারা আরও বলেন, জাতিসংঘ-প্রণীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের বেশ কয়েকটি ধারার চরম লঙ্ঘন ঘটছে ভারতে। সেদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘু মুসলমানদের পাশে দাঁড়াতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারকেও জোরাল ভাষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ করতে হবে। পৃথিবীর যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটুক, সেটার প্রতিবাদ করা আমাদের ঈমানি ও মানবিক দায়িত্ব। এছাড়া ভারতে ক্রমাগতভাবে সংখ্যালঘু মুসলমানদের মানবাধিকার দলনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকেও আমরা একযোগে সরব হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

spot_imgspot_img

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img