ভারতের উত্তর প্রদেশে শরীরে রং লাগাতে নিষেধ করায় শরীফ ইসলাম (৪৫) নামের এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এ সময় তিনি মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) উত্তরপ্রদেশের উন্নাও শহরে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব হোলিকে ঘিরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
জানা গেছে, শনিবার মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলেন শরীফ। এ সময় একদল হিন্দু তার শরীরে আচমকা রং ছুড়ে মারে। তাদের এমন ঘৃণিত কর্মে বাধা দেন শরীফ। তবে তারা এবার বুনো উল্লাসে ফেটে পড়ে ও পুনরায় তার দিকে রং ছুড়ে দেয়। তাদের এই আচরণে প্রতিবাদ করলে হিন্দুত্ববাদীরা আরো উগ্র হয়ে উঠে। শুরু হয় নৃশংস মারধর। রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় তাকে।
নির্মমভাবে পেটানোর এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন শরীফ। কিছুক্ষণ পর, প্রত্যক্ষদর্শী তাকে রাস্তার পাশে বসিয়ে পানি পান করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই শরীফ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এই ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী ও শরীফের পরিবার। সেখান থেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়।
প্রসঙ্গত, মুসলিম সম্প্রদায় যেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ না জানাতে পারে, তাই তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় নিয়োজিত করা হয় শত শত পুলিশ। ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর এই বর্বর আক্রমণ আরও একবার প্রকাশ্যে এনে দিল মুসলিমদের প্রতি চরম সহিংসতার বাস্তবতা।
উল্লেখ্য, শরীফ ইসলাম দীর্ঘদিন সৌদি আরবে একজন গাড়ি ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত দুই মাস আগে তিনি নিজ দেশ ভারতে আসেন।
সূত্র: মকতব মিডিয়া ও ইংলিশ জাগরণ