ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তালেবানের নায়েবে আমীর সিরাজুদ্দীন হক্কানীসহ ৩ জনকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলারের পুরষ্কার পত্যাহার করেছে আমেরিকা। অন্য দুইজন হলেন আব্দুল আজিজ হক্কানী ও ইয়াহিয়া হক্কানী।
শনিবার (২২ মার্চ) আফগানিস্তানের জাতীয় টেলিভিশনে দেশটির স্বররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগান সরকারের স্বরাষ্ট্র মুখপাত্র আব্দুল মতিন কা’নী বলেন, আব্দুল আজিজ হক্কানী ও ইয়াহিয়া হক্কানীর খোঁজ দেওয়ার জন্য ৫ মিলিয়ন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দীন হক্কানীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পুরষ্কার পত্যাহার করেছে আমেরিকা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তালেবান ও এর শীর্ষ নেতাদের নাম সন্ত্রাসী তালিকা থেকে প্রত্যাহারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার। বিগত কয়েক মাসে যা আরো জোরদার হয়।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কাতার ও আরব আমিরাতের সহায়তা নেয় আফগান সরকার। বেশ কয়েকবার আরব আমিরাত ভ্রমণ করেন সরকার ও সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। বিশেষ বৈঠক করেন আমেরিকা ও ইসরাইলের সাথে ঘনিষ্ঠতা রাখা আমিরাত প্রেসিডেন্ট শেখ মুহাম্মদ বিন যায়েদ আলে নাহিয়ানের সাথে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মনুষ্যত্ব ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মার্কিন নাগরিক জর্জ গ্লেজম্যানকে নি:শর্ত মুক্তি দেয় তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার। উপসাগরীয় প্রভাবশালী আরব রাষ্ট্র কাতার এই মুক্তি প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা দেয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গ্লেজম্যানের মুক্তিকে তালেবান নেতৃত্বাধীন ইমারাত সরকারের ইতিবাচক ও গঠনমূলক পদক্ষেপ বলে প্রশংসা করেন। নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় কাতারকে ধন্যবাদ জানান।
২০২১ সালে আমেরিকা ও ন্যাটোকে পরাজিত করে আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে শর্তসাপেক্ষে ও নি:শর্ত উভয় ভাবে মার্কিন বন্দীদের মুক্তি অব্যাহত রেখেছে ইউরোপ-আমেরিকার চোখে সন্ত্রাসী বিবেচিত হওয়া দেশটির বর্তমান সরকার। মার্কিন বন্দীদের মুক্তিকে তারা বিশ্বের সাথে নিজেদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টার অংশ বলে বর্ণনা করেছে।
সূত্র: আরটিএ, আল জাজিরা