পাকিস্তান বহিষ্কৃত শরণার্থীদের সাথে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক ভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত ‘আইএসের’ সদস্যদের প্রবেশ করাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত আমেরিকার সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি জালমি খলিলজাদ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক এক্স বার্তায় এই শঙ্কার কথা প্রকাশ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে খলিলজাদ লিখেন, আফগানিস্তানে আইএসআইএসের প্রবেশ ঘটাতে পাকিস্তান সরকার শরণার্থী বহিষ্কাররের আশ্রয় নিচ্ছে মর্মে বিজ্ঞজনেরা আমার কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং আমিও তাদের সাথে একমত।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে তোরখাম এবং স্পিন বোলদাক সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে বসবাসরত প্রায় ৬০,০০০ আফগান নাগরিক ও শরণার্থীকে জোরপূর্বক আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সংস্থাটির যোগাযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওসমান আজিজী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পরিস্থিতি দ্রুত সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এপ্রিলের প্রথম দুই সপ্তাহে, প্রায় ৬০,০০০ আফগানকে তোরখাম এবং স্পিন বোলদাক দিয়ে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সংস্থার পক্ষ থেকে শুধুমাত্র ১৬ হাজার জনকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।”
সম্প্রতি জোরপূর্বক পাকিস্তান থেকে বহিষ্কারের শিকার আব্দুল কুদ্দুস নামের এক আফগান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ঈদের পরপরই পাকিস্তান আফগান শরণার্থীদের বহিষ্কার শুরু করে। জোরপূর্বক বহিষ্কার ও সম্পদ জব্দের ফলে আমরা তীব্র সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এতে করে সন্তানদের ভবিষ্যতও হুমকির মুখে পড়ছে।”
জোরপূর্বক বহিষ্কারের শিকার অপর এক আফগান বলেন,”আমি পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেছি। সেখানে আমার চাকরি এবং একটি দোকান ছিলো। আমাকে কিছুই না নিয়ে এখানে আসতে বাধ্য করা হয়েছে।
আইওএমের তথ্য অনুসারে, আফগানিস্তানে পাকিস্তান ও ইরান থেকে ২০২৩ এর সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ এর এপ্রিল পর্যন্ত ১ বছর সাড়ে ৭ মাস সময়ে এখন পর্যন্ত ২৪ লক্ষের অধিক আফগান শরণার্থীর প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। তন্মধ্যে ৫৪ শতাংশের প্রত্যাবর্তনই ছিলো জোরপূর্বক। দেশ দুটোর সরকার তাদের জোরপূর্বক বহিষ্কারের মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।