শনিবার, মে ১০, ২০২৫

ইসরাইলের সাথে সম্পর্কে যাওয়ার মার্কিন শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে সিরিয়া

spot_imgspot_img

নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আমেরিকা ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে সম্পর্কে যাওয়ার যে শর্ত রেখেছিলো তা প্রত্যাখ্যান করেছে সিরিয়া।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে একথা জানানো হয়।

খবরে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়, দামেস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আব্রাহাম একর্ডের চুক্তিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পরিবর্তে বাকি শর্তগুলো নিয়ে সংলাপে যেতে ওয়াশিংটনকে আহবান জানিয়েছে।

সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে জানায়, আরব আমিরাত, বাহরাইন সহ আব্রাহাম একর্ডের চুক্তিতে এখন পর্যন্ত যেসব দেশ গিয়েছে তাদের ভূখণ্ডের কোনো অংশই ইসরায়েলের দখলে নেই। কিন্তু সিরিয়ার রয়েছে। গোলান মালভূমি দখলে রাখায় ইসরায়েলের সাথে সিরিয়ার এখনো সংঘাত রয়েছে।

আরো বলা হয়, আব্রাহাম একর্ডে যোগ না দিলেও সিরিয়ার আহমদ শর’আর সরকার তাদের আনুষ্ঠানিক জবাবে জোর দিয়ে বলেছে যে, তারা এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা এই অঞ্চলের কোনো পক্ষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিলো সশস্ত্র গোষ্ঠী এইচটিএস ও রাষ্ট্রকে বিদেশি যোদ্ধা মুক্ত করা। আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে অংশগ্রহণ করা।

এর জবাবে দামেস্ক বলেছে, এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও বিস্তৃত আলোচনা প্রয়োজন।

সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মার্কিন আইনপ্রণেতা কোরি মিলস বলেছিলেন, গত সপ্তাহে সিরিয়-আমেরিকানদের পৃষ্ঠপোষকতায় তথ্য-অনুসন্ধানী সফরকালে দামেশকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ শর’আর সাথে তার ৯০ মিনিটের একটি বৈঠক হয়।

বৈঠকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিরিয়ায় ইসরাইলী দখলদারিত্ব মোকাবিলায় ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চেষ্টা স্বরূপ আহমদ শর’আ শর্ত সাপেক্ষে ইসরাইলের সাথে আব্রাহাম একর্ডের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিতে যেতে রাজি বলে জানান।

এজন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সে বিষয়েও তার সাথে আলাপ হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কোরি মিলস বলেন, আমি আহমদ শর’আকে জানিয়েছি তাকে অবশ্যই বাশার সরকারের রেখে যাওয়া রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ইসলামী সশস্ত্র গোষ্ঠী তাহরিরুশ শাম (এইচটিএস) যা বাশারের পতনে তার নেতৃত্বে লড়াই করেছে, একে বিদেশী সেনা ও পদধারীদের থেকে মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসরাইলকে তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলোতে আশ্বস্ত করতে হবে।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ১৯৬৭ থেকে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখলে রাখা ইসরাইল বাশারের পতনের পর সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের আরো ভূখণ্ড দখল করে নেয়। এইচটিএসের মতো খেলাফতবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দেওয়া আহমদ শর’আ ও তার সরকার তাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কায় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা, অস্ত্রাগার এবং সামরিক নৌ ও বিমানবন্দর ধ্বংস করে দেয়। সিরিয়াকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করে যাওয়া তুরস্ককেও ফেলে চাপের মুখে। যেনো তুরস্ক তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন না করে

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img