ফিলিস্তিনের গাজ্জা উপত্যকাকে কসাইখানা বলে আখ্যায়িত করেছেন ব্রিটিশ প্লাস্টিক সার্জন ডা. টম পটোকার।
তিনি বলেন, এটা ভয়াবহ, এটি একটি কসাইখানা। আমি এমন ধ্বংস আগে দেখিনি। আমার চিকিৎসা জীবনের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতা এটি।
শুক্রবার (২৩ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. পটোকার জানান, গাজ্জা উপত্যকায় তিনি ১৬ বার গেছেন, কিন্তু এবারের ধ্বংসযজ্ঞ ২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়কালের চেয়েও অনেক বেশি ব্যাপক।
তিনি বলেন, আমি বর্তমানে আমাল হাসপাতালে কাজ করছি। কারণ আমি যেখানে আগে ছিলাম, সেই ইউরোপিয়ান হাসপাতালটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আজকের খান ইউনিসকে স্তালিনগ্রাদের মতো দেখায়।
তিনি আরও বলেন, গাজ্জায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাদ্যের চরম সংকট চলছে। প্রতিটি রোগী মারাত্মক অপুষ্টি ও বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতবিক্ষত। হাসপাতালের বিছানায় শিশুরা ক্ষুধার্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তার মতে, মার্চ থেকে আরোপিত মানবিক অবরোধ গাজ্জায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
পটোকার প্রশ্ন তোলে বলেন, বিশ্বনেতারা আর কত কথা বলবেন? কিছু করুন। নিরপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে, শিশুরা অনাহারে, ব্যথায় কাতরাচ্ছে। এটি সভ্যতার লজ্জা।
ডা. ভিক্টোরিয়া রোজ নামে আরেক ব্রিটিশ প্লাস্টিক সার্জন বলেন, ইসরাইলি হামলার ফলে আমাদের হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। আমার অ্যানেসথেটিস্ট নার্স এবং গ্রেইমের অর্থোপেডিক সহযোগী অপারেশন চলাকালেই চলে যেতে বাধ্য হন, তাদের পরিবারকে সরিয়ে নিতে।
ডা. গ্রেইম গ্রুপ নামে আরেকজন বলেন, ফিলিস্তিনি সহকর্মীরা আমাদের মতোই মানুষ। তাদেরও পরিবার আছে, স্বপ্ন আছে। কিন্তু তারা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করছে।