অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সকল রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচন বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বাধ্য করতে চাই না। তিনি আমাদের প্রতিপক্ষ নন। তিনি সরকারের অভিভাবক। আমাদের সবার দায়িত্ব তাকে সহযোগিতা করা।
শনিবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমরা বিচলিত না হলেও সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী চুপ করে বসে থাকতে পারে না। জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া কোনো অবস্থাতেই সমীচীন হবে না।
তিনি বলেন, পূর্বে নির্বাচনের নামে তামাশা করা হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষকে ভোটবিমুখ করা হয়েছে। তাই এমন একটি নির্বাচন করতে হবে, যেখানে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে। নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য।
মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে তিনি আরও বলেন, এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। হুট করেই কিছু করা যাবে না। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অথবা নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের ওপর দেশের বাণিজ্য নির্ভরশীল। এসব বিষয়ে ভেবে-চিন্তে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করতে হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে এ আহ্বান জানিয়েছি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এখনও পর্যন্ত সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ আসেনি। আমরা দ্রুত এই রোডম্যাপ প্রকাশ করতে সরকারকে আহ্বান জানাবো। এছাড়াও, কারও কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সেনাবাহিনী যেন বিতর্কিত না হয়। সেনাবাহিনীকে বিতর্ক থেকে দূরে রাখা উচিত বলেও জানান জামায়াত আমীর।