ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ বলেছেন, কিছু পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া ইসলামি শাসনের সাফল্যকে ছোট করে তুলে ধরে এবং ভুল ব্যাখ্যা দেয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইসলামি শাসনের আলো নিভে যেতে দেওয়া যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, যেসব আফগান বিদেশে অবস্থান করছেন, তারা যেন নিজ দেশে ফিরে আসেন। “আমিরুল মুমিনীনের পক্ষ থেকে সকলের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ আপনাদের ক্ষতি করবে না। ফিরে এসে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করুন।”
শনিবার সকালে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ‘আর্গ’-এ অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নামাজে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আফগান প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আনন্দের এই দিনগুলোতে দরিদ্র পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা এবং তাদের সহায়তা করা মুসলমানদের কর্তব্য।”
তিনি আরও বলেন, “নিরাপত্তা ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি শাসনব্যবস্থা আল্লাহর এক বড় নেয়ামত। আমাদের এটির মূল্য বুঝতে হবে এবং আলেমদের দায়িত্ব এই শাসনের হেফাজত করা।”
তিনি উদ্বাস্ত্তদের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দেন এবং ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে আওয়াজ তোলায় ইমাম, আলেম, মুজাহিদ ও সাধারণ নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, “যদিও কিছু সমস্যা আছে, তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামি শাসনের স্তম্ভ দুর্বল করতে যেন কোনো শত্রু সুযোগ না পায়।”
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শেষাংশে যুবসমাজ ও গাড়িচালকদের উদ্দেশে আহ্বান জানান যে, ঈদের সময় ও অন্যান্য দিনেও গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে যেন অতিরিক্ত গতি ও অসতর্কতায় কারও ক্ষতি না হয়।
এই ঈদের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ইমারাতে ইসলামিয়ার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও ক্বাযী উল কুযাত মাওলানা আবদুল হাকীম হক্কানী।
তিনি বলেন, “দায়িত্ব একটি আমানত। আল্লাহর হক ও বান্দার হক যথাযথভাবে পালন করতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন ইসলামি শাসনের দায়িত্ব। ইসলামিক আমিরাত তা সফলভাবে করে যাচ্ছে।”
সূত্র : আরটিএ