গাজ্জা সিটির আশ-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের বাইরে সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নৃশংস ও পরিকল্পিত হামলায় আল জাজিরার শীর্ষ সাংবাদিক আনাস আল-শরীফসহ সাত সাংবাদিক শাহাদাত বরণ করেছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) অশ্রুসিক্ত নয়নে তাদের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
ইসরাইলি বাহিনী রবিবার (১০ আগস্ট) গভীর রাতে প্রধান ফটকের বাইরে সাংবাদিকদের জন্য স্থাপিত তাঁবুতে সরাসরি গোলাবর্ষণ চালায়। মুহূর্তেই রক্তে ভেসে যায় সংবাদযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল। হামলায় শহীদ হন দাহদুহ-পরবর্তী সময়ে গাজ্জার সংগ্রামী কণ্ঠস্বর আনাস আল-শরীফ। একই হামলায় শহীদ হন মুহাম্মদ কুরাইখে, ফটো সাংবাদিক ইব্রাহীম জাহের, মুমিন আলিওয়া, সহযোগী মুহাম্মদ নওফেল, স্বাধীন সাংবাদিক মুহাম্মদ আল-খালদি এবং আরেকজন অজ্ঞাতপরিচয় সাংবাদিক।
হামলার আগে ইসরাইলি সেনারা একাধিকবার সাংবাদিকদের, বিশেষত আনাস আল-শরীফকে, গাজ্জা ছাড়তে বাধ্য করার জন্য হুমকি ও উসকানি দেয়। কিন্তু সাহসী এই সংবাদযোদ্ধা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার শেষ পোস্টে লিখেছিলেন, “জান্নাত ছাড়া গাজ্জা ছেড়ে আমি আর কোথাও যাবো না।”
সোমবার সকালে আশ-শিফা হাসপাতাল এলাকায় জানাযায় অংশ নেয় শত শত ফিলিস্তিনি। জানাযা শেষে মরদেহগুলো শেখ রিদওয়ান কবরস্থানে দাফন করা হয়। এসময় এক ব্যক্তি শহীদ আনাসের ‘প্রেস’ লেখা ফ্ল্যাক জ্যাকেট তুলে ধরলে পরিবেশ আরও শোকভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। কেউ সেটি আলিঙ্গন করে কাঁদেন, কেউ রক্তের প্রতিশোধের অঙ্গীকার করেন, আবার কেউ ইসরাইল ও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
আন্তর্জাতিক সাংবাদিক অধিকার সংস্থা সিপিজে ও আরএসএফসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংগঠন এই হত্যাযজ্ঞকে পরিকল্পিত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি তুলেছে।
সূত্র: আল জাজিরা









