বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবি সমমনা ইসলামী দলগুলোর

জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সমমনা ইসলামী দলগুলোর নেতারা।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমমনা ইসলামী দলগুলোর এক বৈঠকে নেতারা এ দাবি জানান।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, মহাসচিব মাওলানা মূসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন।

নেতারা বৈঠকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুত জুলাই সনদ অবশ্যই আইনি ভিত্তি পেতে হবে এবং এই সনদের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। অন্যথায় জনগণ এই নির্বাচন মেনে নেবে না এবং সমমনা ইসলামী দলগুলোর কাছেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

তারা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দুঃখজনক ইতিহাস রয়েছে। তাই শুধু কথায় নয়, আইনি ভিত্তির মাধ্যমেই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

নেতারা প্রশ্ন রাখেন, ‘যে সরকার সংবিধান দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত নয়, সেই সরকার কীভাবে একই সংবিধানের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে পারে?’

তারা আরও বলেন, নৈতিকতার দিক থেকেও এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের বৈধতা আসবে এবং সেই সনদ অনুযায়ী নির্বাচন হলে জনগণও তা গ্রহণ করবে।

নেতারা বলেন, রাজনৈতিক চাণক্য থেকে কেউ কেউ দাবি করছেন বিদ্যমান সংবিধানের অধীনেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সরকার মূলত জুলাই বিপ্লবের সমস্ত অংশীজনের একটি বিশেষ রাজনৈতিক সমঝোতার ফল— যার সরাসরি সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই। তাই জনগণের আস্থা অর্জনের একমাত্র পথ হলো জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়া।

এছাড়াও, বৈঠকে সমমনা ইসলামী দলগুলোর ঐক্যকে আরও সুসংগঠিত এবং সম্প্রসারণের বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নেতারা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

spot_img
spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img