আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা বা আমীরুল মু’মিনীন শাইখুল হাদিস মাওলানা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বলেছেন, জ্ঞান, শিক্ষা, চরিত্রগঠন ও আমল মানবসমাজের জন্য অপরিহার্য। তাই দায়িত্বশীলদের উচিত কাজে অবহেলা বা গাফিলতি থেকে বেঁচে থাকা।
মাওলানা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কর্মকর্তাদের কাজের প্রশংসা করে কুরআন ও হাদিসের আলোকে জ্ঞান, শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আল্লাহ তাআলা কল্যাণের উৎস হিসেবে আলেম, শিক্ষার্থী ও যিকিরকারীদের উল্লেখ করেছেন। যারা তাদের সহায়তা করে, তারাও সেই জ্ঞানের অংশীদার, যার মাধ্যমে আল্লাহর মারিফাত, দ্বীন ও শরীয়তকে জানা যায়। কুরআন ও হাদিসে এর প্রশংসা ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ইলম ও আলেম দুনিয়ার স্থায়িত্বের মাধ্যম এবং আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তির পথ। আল্লাহ তাআলা আলেমদের বরকতে জমিন থেকে ফিতনা-ফাসাদ, অনৈতিকতা ও অশ্লীলতা দূর করে দেন।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন নিজের আমল ও আচরণের মাধ্যমে। সাহাবায়ে কিরামও এভাবে শিক্ষা পেয়েছেন। রাসূলুল্লাহ তাদের বলেছেন, “যেমন আমাকে দেখছ, তেমনই তোমরাও আমল করো।”
তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরামও আমলের মাধ্যমে মানুষের কাছে জ্ঞান প্রচার করতেন। তারা মানুষের আক্বীদা ও আখলাকের সংস্কার করতেন, তাদের চিন্তা ও মানসিকতা শুদ্ধ করতেন এবং তাদের অভ্যাস গড়ে তুলতেন।
মাওলানা হিবাতুল্লাহ বলেন, নবী-রাসূলগণ যেভাবে মানুষকে পথনির্দেশ করেছেন, আলেমদেরও ঠিক সেইভাবেই পথনির্দেশ করা উচিত।
তিনি বলেন, আলেমদের উচিত নবী-রাসূলদের তাকওয়া, গুণাবলি, চরিত্র, ইখলাস, ধৈর্য ও দৃঢ়তা নিজেদের মধ্যে ধারণ করা এবং তা মানুষের সামনে প্রকাশ করা, যাতে মানুষ তাদের অনুসরণ করতে পারে।
তিনি সতর্ক করেন: গাফিলতি একটি ভয়াবহ রোগ। দায়িত্বশীল ও অদায়িত্বশীল উভয়েরই কর্তব্য তাদের কাজের মধ্যে অবহেলা থেকে বিরত থাকা।
শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি দয়া করুন, তাদের তদারকি করুন এবং কোনোভাবেই যেন তারা অকারণে সময় নষ্টে মগ্ন না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
সূত্র : আরটিএ