জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তাদের যে নীতিমালা করছে, এআই নিয়ে কাঙ্ক্ষিত কিছুই ছিল না। নির্বাচনের সামনে এআই ব্যবহার বাড়বে। এবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি বিষয় হলো, যারা সাবেক সরকারের সিন্ডিকেট বা সমর্থন করত, দেশে বা দেশের বাইরে থেকে তারা কিন্তু এআই ভিন্নভাবে অত্যন্ত জোরালোভাবে ব্যবহার করবে। সেটাকে মোটিভেটেড ক্যাম্পেইন করার সম্ভাবনা প্রকট। সেই বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব করেছিলাম টেকনিশিয়ান ও এক্সপার্টদের দিয়ে বিষয়টা দেখার জন্য কিন্তু তাদেরও এই বিষয়ে দক্ষতা ছিল না। বর্তমানে তারা এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করছে। এটা নিয়ে নির্বাচনের আগে একটা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করব। কিছু একটা দিতে পারি কি না, আমাদের একটা প্রত্যাশা থাকবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নির্বাচন কমিশন বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি ও টিআইবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইলেকশন ট্রেনিং কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এআই প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে এআইর বিষয়গুলো নিয়ে। এটা নিয়ে আমরা নিজেরাই স্বীকার করি যে, এটা নিয়ে আমাদের খুব বেশি ইনভলভমেন্ট নেই। অন্যভাবে এ বিষয়ে আমরা সমৃদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরও চেষ্টা করছি সাংবাদিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি কোর্সের মতো কিছু করার। আলোচনা করে চেষ্টা করব নতুন করে কিছু একটা করার। এটা নিয়ে নির্বাচনের কাছাকাছি সময় কিছু একটা করা যায় কি না। নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করার পর আমরা চেষ্টা করব এআই নিয়ে একটি ফলোআপ সেশন করা যায় কি না।
প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বাস করেন এই প্রশিক্ষণে আমাদের স্বার্থ আছে। আপনারা যে স্বার্থ নিয়ে কাজ করছেন, জনকল্যাণ, একই স্বার্থ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ ধরনের প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে করলে ভালো হতো। তবে অফিস ছুটি দেবে কি না, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এতে আমাদের খরচ বেশি হবে তাই আমাদেরও একটা ক্যাপাসিটির বিষয় থাকে। তবে আমরা ঢাকার বাইরেও এমন প্রশিক্ষণ করে থাকি।
ডাটা জার্নালিজম প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রশিক্ষণে এটা নিয়ে আরও অর্গানাইজড ওয়েতে প্র্যাকটিক্যালি কিছু করা গেলে ভালো হতো। এটা নিয়ে কাজ করব।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা আপনাদের সহযোদ্ধা হিসেবে মনে করি। আমরা সবাই বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের লক্ষ্য একটাই, জনকল্যাণই আমাদের মূল কাজ। যে ক্যাপাসিটি আছে, সবগুলোই আমরা বিনিয়োগ করব জনকল্যাণে।