নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন থেকে সরে আসায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ। একইসঙ্গে দলটি অভিযোগ করেছে, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার গড়িমসি করছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে গত ১৭ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় আহত জুলাই যোদ্ধাদের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নিন্দা প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে আহতদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ লক্ষ্য করছে, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার অনীহা দেখাচ্ছে, যা জাতির জন্য উদ্বেগজনক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কেউ কেউ গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে আয়োজনের প্রস্তাব দিচ্ছেন, যা পরিষদের মতে অবাস্তব ও অপরিপক্ব ধারণা। একই দিনে ভোট হলে গণভোটের গুরুত্ব হ্রাস পাবে এবং প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এটি জাতির সঙ্গে প্রতারণার সামিল
জামায়াতের দাবি, সরকার যেন দ্রুত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করে এবং নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করে। পাশাপাশি, গণভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন জরুরি। এর মাধ্যমে জনগণ সরাসরি ভোট প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারবে, জাল ভোট ও কারচুপি প্রতিরোধ হবে এবং ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফিরবে।
এই প্রেক্ষাপটে, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সরকার ও ইসির কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।