তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, গত ১৫ বছরে অপসাংবাদিকতার জন্য কেউ অ্যাপোলজি (ক্ষমা প্রার্থনা) করেনি। তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। যখন আমরা গণমাধ্যমের মালিকানার ফাইলগুলো দেখি, অধিকাংশ মালিক এখনো আওয়ামী লীগের। এখনো আওয়ামী লীগের মালিকানা পরিবর্তন করা হয় নাই। তারা বিদেশ থেকে বসে বসে এখনো টেলিভিশন চ্যানেলে যে আয় হয়, সেটার থেকে ওনারা পাচ্ছেন। পত্রিকা অফিস থেকে ওনারা পাচ্ছেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) আয়োজনে শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুরোনো বন্দোবস্তের লোকেরা, পুরোনো বড় বড় মিডিয়া হাউস যারা আছে, তারা চায় না যে দেশে কোনো অলটারনেটিভ মিডিয়া হোক। সে জায়গা থেকে বিভিন্নভাবে এটাতে ফ্রেমিংয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবুও নতুন মিডিয়ার লাইসেন্স দেওয়া হবে কারণ মিডিয়ায় ফ্রেশ ব্লাড দরকার। যেহেতু আমারা কোনো মিডিয়া বন্ধ করছি না, তাই নতুন মিডিয়া, আরও মিডিয়া দেওয়া হবে।
সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা রোধে আইন করা যায় কি না? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকতার পরিমণ্ডল থেকে যদি খারাপ মানুষ না সরানো যায় তাহলে সমস্যা থেকেই যাবে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন যদি থেকে যায়, তাহলে এটাও সাংবাদিকরাদের জন্য খারাপ। অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সাংবাদিক পরিচয়ে বা বিভিন্ন পরিচয়ে, বুদ্ধিজীবী পরিচয়ে। টেলিভিশন টক শোতে বসে বসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলছেন। এই সাহস কোথায় ছিল গত ১৫ বছরে?
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।









