আন্তর্জাতিক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সদস্য সচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী বলেছেন, আগামী ১৫ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশ কাদিয়ানী মতবাদ ও নবুওয়াত বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐক্য ও প্রতিবাদের আন্তর্জাতিক বার্তা বহন করবে। এটাই সময় মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি তোলার। কাদিয়ানীরা ইসলাম থেকে পৃথক ও অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় ইস্যু নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা, ধর্মীয় সংহতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার বিষয়।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক মসজিদে সংগঠনের পল্টন জোনের পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জোন সভাপতি মাওলানা জুবায়ের রশিদের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা ইউনুস ঢালি, মাওলানা আশিক উল্লাহ, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা ওমর ফারুক কুতুবী, মুফতী জুবায়ের আহমাদ, মুফতী তৌহিদুল ইসলাম, মুফতি আসাদুল্লাহ জাকির, মুফতী আক্তার হোসেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন, শাহবাগ থানার বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাকির হোসেন মিন্টু, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম স্বপন, শাহবাগ থানা বাংলাদেশ জামায়াতেন আমীর জনাব আহসান হাবিব, জামায়াত পল্টন থানার আমীর জনাব শাহীন আহমেদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, কাদিয়ানী সম্প্রদায় (যারা নিজেদের ‘আহমদিয়া মুসলিম’ বলে পরিচয় দেয়) মূলত ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিশ্বাস “খাতামুন নবিয়্যীন” তথা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পর আর কোনো নবী আসবে না, এই বিশ্বাসের বিরোধিতা করে। তারা মির্জা গোলাম আহমদকে নবী ও মসীহ হিসেবে বিশ্বাস করে, যা সম্পূর্ণভাবে ইসলামবিরোধী ও ঈমান নষ্টকারী আকীদা। এই বিশ্বাস কুরআন, হাদিস এবং ইজমায়ে উম্মতের স্পষ্ট পরিপন্থী। বাংলাদেশের সংবিধানে “আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস” ভিত্তিক রাষ্ট্র হওয়ায় ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসে আঘাতকারী গোষ্ঠীকে মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সাংবিধানিকভাবেও বৈধ নয়। তাই কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা।









