ভারত বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সুপার পাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার।
তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে আছে এবং ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম এক পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গিডিয়ন সার বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে সম্পর্ক উন্নত করছি। ভারতের বন্ধুত্বের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। গিডিয়ন সার বলেন, ভারত ও ইসরাইল শিগগিরই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে। প্রতিরক্ষা, কৃষি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আগ্রহ রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার নিন্দা জানানোয় নয়াদিল্লির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা কখনো ভুলব না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন সেই ভয়াবহ দিনের প্রথম বিশ্বনেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ভারত আমাদের পাশে ছিল, আমরা তা চিরকাল স্মরণ করব।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদের অভিজ্ঞতা ভারত ও ইসরাইলের একই রকম। ভারত লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সংগঠনকে সন্ত্রাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা গোয়েন্দা তথ্য, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ইসরাইলের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি এবং আমরা তা ভারতের সঙ্গে ভাগাভাগি করার জন্য প্রস্তুত।
গিডিয়ন সার বলেন, নতুন প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা কাঠামো তৈরি হচ্ছে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে একটি বাস্তব কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপ দিচ্ছে। সাক্ষাৎকারের শেষের দিকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও নেতানিয়াহুর মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত উন্মুক্ত ও কৌশলী। আমি আশা করি, তারা শিগগিরই সাক্ষাৎ করবেন। ভারত ভবিষ্যতের প্রতীক আর ইসরাইল আঞ্চলিক শক্তি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বড় কিছু করতে পারব।
আগামী বছর ভারতের আয়োজিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্মেলনে ইসরাইল উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠাবে বলেও জানিয়েছেন ইসরাইলি এই মন্ত্রী।
সূত্র: এনডিটিভি।









