শনিবার | ৮ নভেম্বর | ২০২৫

গাজ্জায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করবে আমেরিকা; ত্রাণ সংস্থাগুলোর হুঁশিয়ারি

আমেরিকা ঘোষণা করেছে- গাজ্জার মানবিক সহায়তা তদারকির দায়িত্ব ওয়াশিংটনের নেতৃত্বাধীন কথিত আন্তর্জাতিক কমান্ড সেন্টার গ্রহণ করবে।

আমেরিকার সরকার জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পরিবর্তে এখন থেকে গাজ্জা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ ও বণ্টনের সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্ব ওয়াশিংটনের নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক কমান্ড সেন্টারের হাতে থাকবে, যার অবস্থান “কিরইয়াত গাত” শহরে।

হিব্রু দৈনিক ইদিয়োত আহারোনোত–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে যার অধীনে “কিরইয়াত গাত” শহরে ওয়াশিংটনের তত্ত্বাবধানে একটি আন্তর্জাতিক কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হবে। এটি গাজ্জায় মানবিক সাহায্যের প্রবেশ ও বিতরণে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর জায়গায় কাজ করবে।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে এবং এখন থেকে মানবিক সহায়তা প্রেরণ ও বিতরণের পুরো প্রক্রিয়া সরাসরি ওয়াশিংটনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্ট–কে বলেন, ইসরাইলিরা আলোচনায় অংশ নিচ্ছে, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রই নেবে।

এই পদক্ষেপ কার্যত তেলআবিবকে মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাপনায় এক গৌণ ভূমিকার অবস্থানে নামিয়ে এনেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এবং ইসরাইলের মাধ্যমে আরোপিত সীমাবদ্ধতাগুলোর বাতিল হবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

গাজ্জা উপত্যকায় তৎপর ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে— এই পরিকল্পনা গাজ্জা মানবিক তহবিল-এর মতো ব্যর্থ হতে পারে। তাদের মতে, গত বছর ওই তহবিল মানবিক সহায়তার পরিবর্তে বেসামরিক জনগণকে নিয়ন্ত্রণ এমনকি হুমকি দেওয়ার একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল।

কিরইয়াত গাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই কমান্ড সেন্টারে ৪০টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে বলে জানা গেছে।

আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)-এর মুখপাত্র টিম হকিন্স জানান, এই দেশগুলোর উপস্থিতি ওয়াশিংটনকে মাঠপর্যায়ের অগ্রাধিকার ও বাস্তব চাহিদা আরও ভালোভাবে বোঝার সুযোগ দেবে।

এদিকে, হোয়াইট হাউসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, জ্যারেড কুশনারসহ ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, যাতে “হলুদ রেখা” বরাবর ১৬টি নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই “হলুদ রেখা” হলো সেই সীমান্তরেখা, যেখানে ইসরাইলি সেনাবাহিনী চুক্তির প্রথম ধাপ অনুযায়ী পিছু হটেছে। প্রস্তাবিত ওই অঞ্চলগুলো মানবিক সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র ও ফিলিস্তিনি জনগণের চলাচল নিয়ন্ত্রণের পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

সূত্র: পার্সটুডে

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img