শুক্রবার | ১৪ নভেম্বর | ২০২৫

আওয়ামী লীগ আমলে জুলুমের শিকার ইমরান, বসতভিটা হারিয়ে এবার দলীয় পদও ঝুঁকিতে

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান। ভূমি দখল, জোরপূর্বক উচ্ছেদ, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলায় আসামি হওয়া এবং কোটি টাকার চেক মামলায় জড়িয়ে পড়া, সব মিলিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ আমলের জুলুম–নির্যাতনের ভুক্তভোগী হিসেবে পরিচিত।

পুরোনো সংবাদ প্রতিবেদন, ভূমি অফিসের নথি ও মামলার কাগজপত্র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, বৈধ মালিকানা থাকা সত্ত্বেও ইমরানদের পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে; এখনো সেই জমি দখলমুক্ত হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ দিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব পেলেও তিনি বর্তমানে সেখান থেকেও শোকজ ও সাময়িক বহিষ্কারের মুখে।

নিজের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ইমরান বলেন, “আমি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। তখনকার বাস্তবতায় ছাত্র হিসেবে যে প্ল্যাটফর্মটাকে সঠিক ভেবেছি, সেখানেই কাজ করেছি। পরে সময়, পরিস্থিতি আর নিজের ভাবনা বদলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছি এই বিশ্বাস থেকে যে দেশের পরিবর্তন আসবে, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে উঠবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সেই পরিবর্তনের বাস্তব চিত্র আজও দেখতে পাইনি; বরং অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীকেই আবার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে।”

ভূমি রেকর্ড অনুযায়ী, চরলক্ষ্যার যে প্রায় ৩০০ শতক বা তিন একর জমি নিয়ে বিরোধ, তা ইমরানদের পরিবারের বৈধ মালিকানাধীন ছিল। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে এলাকার আওয়ামী যুবলীগ নেতা সুলেমান তালুকদার এবং কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিচয়ধারী আজিজুর রহমান জমিটি কেনার প্রস্তাব দেন। পরিবার জমি বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় সময়ের সঙ্গে বিরোধ ঘনীভূত হতে থাকে।

সেই সময় চরলক্ষ্যা ৬ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে জোরপূর্বক তিনটি পরিবারকে, যার মধ্যে ইমরানদের পরিবারও ছিল, বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়, পরিবারের সদস্যরা রাতারাতি এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

ইমরান জানান, তার পরিবার জমি বেচতে অস্বীকৃতি জানানোয় এই উচ্ছেদ পরিচালিত হয়। তার ভাষায়, “এই জায়গাটাই ছিল আমাদের সব। একমাত্র বসতভিটা, একমাত্র ভরসা। আমরা শুধু বলেছিলাম, জমি বিক্রি করব না, এটা আমাদের বাপ–দাদার ভিটা। সেই কথা বলার অপরাধেই আওয়ামী লীগ আমলে আমাদের ঘরবাড়ি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”

উচ্ছেদের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি তৎকালীন ভূমিমন্ত্রীর নজরে আসে। তার নির্দেশে কর্ণফুলী থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চরলক্ষ্যা এলাকায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে।

ভূমি অফিসের নথি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই অভিযানে ইমরানসহ ভুক্তভোগী তিন পরিবারের বসতবাড়ি পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং জবরদখলের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফোনে যোগাযোগ করা হলে তৎকালীন কর্ণফুলী থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলাম ইনসাফকে বলেন, “২০১৫ সালে চরলক্ষ্যা ৬ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজের নেতৃত্বে জোরপূর্বক তিনটি পরিবারকে, যার মধ্যে ইমরানও ছিল, বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। পরবর্তীতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে আমার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ইমরানসহ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর বসতবাড়ি ফিরিয়ে দিই এবং আজিজকে গ্রেপ্তার করি।”

ঘটনার পটভূমি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার জের ধরেই পরবর্তীতে ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতার হত্যাকাণ্ডটি ঘটে, যা আমার ওই এলাকা থেকে বদলি হওয়ার পর সংঘটিত হয়।”

তার এই বক্তব্য ইঙ্গিত করে, জমি–বিরোধ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের ঘটনাই পরবর্তী রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘর্ষের মূল পটভূমি হিসেবে ভূমিকা রাখে।

ভূমি দখল ও উচ্ছেদকে ঘিরে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এলাকায় রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। কর্ণফুলী থানার মামলা নথি ও চিকিৎসা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এ বিরোধের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমদ গুরুতর আহত হন এবং পরে মৃত্যুবরণ করেন।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরানকে এবং ২ নম্বর আসামি হিসেবে রাখা হয় স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। একই মামলায় ইমরানের মা এবং তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তার ছোট ভাইকেও আসামি করা হয়। শিশু হওয়ায় ছোট ভাইয়ের মামলা শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মামলার নথি ও সাক্ষ্যতালিকা পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম একটি, এজাহারে আরেকটি নাম ব্যবহার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসা নথিতে মাথায় আঘাতের কথা উল্লেখ থাকলেও এজাহারে লেখা হয়েছে কানের নিচে ঘাড়ে আঘাত করা হয়েছে। অধিকাংশ সাক্ষী নিহত জাফর আহমদের পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়; নিরপেক্ষ প্রতিবেশীর সাক্ষ্য খুবই সীমিত।

এ প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, “জাফর আহমদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। জমি দখল আর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সুযোগ নিয়ে আমাদের পুরো পরিবারকে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমার ছোট ভাই তখন স্কুলের ছাত্র, তবুও তাকে ছাড় দেওয়া হয়নি।”

তার অভিযোগ, “এজাহার, চার্জশিট আর এমসি রিপোর্ট একসঙ্গে তুলনা করলে অমিলগুলো খুব পরিষ্কার বোঝা যায়। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুরু থেকেই বিষয়টা আমাদের বিপক্ষে সাজানো ছিল।”

উচ্ছেদ ও হত্যা মামলার ঘটনা ২০১৫ সালে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমের সংবাদ ও স্থানীয় উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী বিরোধপূর্ণ জমির নথি পুনরায় যাচাইয়ের নির্দেশ দেন।

ভূমি অফিসের তদন্তে সংশ্লিষ্ট জমির প্রকৃত মালিকানা ইমরানদের পরিবারের পক্ষে প্রমাণিত হয়। এ ভিত্তিতে উপরস্থ দপ্তর থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমি ও বসতভিটা মালিক পরিবারকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়।

নথি অনুযায়ী, নির্দেশের পর কিছু সময়ের জন্য ইমরানদের পরিবার উক্ত জায়গায় পুনরায় ঘর তুলে বসবাস শুরু করে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের চাপ, রাজনৈতিক প্রভাব এবং নিরাপত্তা–ঝুঁকির কারণে তারা আবারও এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। বাস্তবে বসতভিটা আর তাদের স্থায়ী দখলে ফিরে আসেনি।

ইমরান বলেন, “কাগজে–কলমে আজও আমরা ওই জমির মালিক। সরকারি রিপোর্ট, স্বাক্ষর, ফাইল, সবই আমাদের পক্ষে। কিন্তু বাস্তবে আমরা সেখানে গিয়ে দাঁড়াতেও পারি না। আমাদের ঘরবাড়িতে আজও অন্যেরা থাকে, আমরা শহরে ভাড়া বাসায়।”

পুরোনো বিরোধ থামার পরিবর্তে পরবর্তী সময় তা আরও জটিল আকার ধারণ করে। কর্ণফুলী থানার জিডি, ফৌজদারি মামলা ও আদালতের নথিতে ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর–এর একটি ঘটনার উল্লেখ আছে।

সেদিন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকা থেকে একদল ব্যক্তি জোর করে সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরানকে একটি গাড়িতে তুলে নেয় এবং মারধরের ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে কর্ণফুলী থানার এসআই রেজাউলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

একই সময় তার পরিবারের ১০টি চেকের পাতা, ১১০টি দলিল, খতিয়ান ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আত্মসাৎ করা হয় বলে পরবর্তী মামলাগুলোর বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ফৌজুল মুবিন চৌধুরীর নামও উঠে আসে।

আত্মসাৎ করা চেক ব্যবহার করে ইমরানের নামে ২টি এবং তার পিতার নামে ১টি, মোট ৩টি চেক মামলায় প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা অংক বসিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের নথি অনুযায়ী, এসব মামলার মধ্যে একটি মামলায় একতরফাভাবে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, বাকি মামলাগুলো বিচারাধীন।

ইমরান এই প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ প্রতারণা হিসেবে দাবি করে ২০২৪ সালে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় একটি সি.আর মামলা দায়ের করেন, যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।

তার ভাষায়, “চেকগুলো আমাদের কাছ থেকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া হয়নি, জোর করে এবং ভয় দেখিয়ে নিয়েছে। পরে সেগুলোর ওপর ভর করেই আমাদের আর্থিকভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ কারণে আমি বাধ্য হয়ে ৪২০ ধারায় প্রতারণার মামলা করেছি। কিন্তু বিচার পেতে ভুক্তভোগীকেই বার বার নিজেকে প্রমাণ করতে হচ্ছে।”

আওয়ামী লীগ আমলে জুলুম ও মামলার ভুক্তভোগী হিসেবে দীর্ঘ সময় পার করার পর কিছুদিন আগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয় কাঠামোয় তাকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ইমরানের ভাষ্য, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে যখন মানুষ ন্যায়বিচার আর পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছিল, তখনই আমি এনসিপিতে যোগ দিই। ভেবেছিলাম, অন্তত ভুক্তভোগীদের কথা বলার একটা প্ল্যাটফর্ম পাব, যেখানে পুরনো জুলুমের ইতিহাস বুঝে আমাদের বিচার করা হবে।”

তবে অল্প সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে তাকে শৃঙ্খলাজনিত অভিযোগে শোকজ করা হয় এবং সাময়িক বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। অভিযোগ করা হয়, তিনি দলে যোগদানের সময় অতীতের সব মামলা ও জটিলতার তথ্য যথাযথভাবে উপস্থাপন করেননি এবং তার বিরুদ্ধে থাকা কিছু অভিযোগ দলের ভাবমূর্তির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কি না তা যাচাই প্রয়োজন।

ইমরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আওয়ামী লীগ আমলে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে, এটা কোনো গোপন তথ্য নয়। সংবাদপত্রে, সরকারি নথিতে, কোর্টের কাগজে সবই আছে। এখন সেই মামলাগুলোকেই যদি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে শাস্তির ভিত্তি করা হয়, তাহলে ভুক্তভোগীরা কোথায় দাঁড়াবে?”

ভূমি অফিসের রেকর্ড, কর্ণফুলী থানার মামলা নথি, আদালতের ফৌজদারি ও চেক মামলার কাগজপত্র এবং রাজনৈতিক নথি মিলিয়ে যে চিত্র পাওয়া যায়, তাতে দেখা যাচ্ছে, বৈধ মালিকানা থাকা সত্ত্বেও জমি দখল ও জোরপূর্বক উচ্ছেদ, উচ্ছেদ–বিরোধের জের ধরে রাজনৈতিক উত্তেজনা, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতার হত্যা এবং হত্যা মামলায় ইমরান ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামি করা, পরবর্তীতে তুলে নিয়ে মারধর, চেক–দলিল আত্মসাৎ ও কোটি টাকার চেক মামলা দায়ের, সবশেষে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে দায়িত্ব পাওয়ার পরও অতীতের একই মামলাগুলোর অজুহাতে শোকজ ও সাময়িক বহিষ্কারের প্রক্রিয়া।

এই প্রেক্ষাপটে নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইমরান বলেন, “জাফর আহমদের পরিবারের প্রতি আমার তেমন কোনো অভিযোগ নেই। তবে স্থানীয় ক্ষমতার বলয় তৈরি করে রাখা এই পরিবারকে হাতিয়ার বানিয়ে এক ধরনের মাফিয়া সিন্ডিকেট আমাদের মতো অনেক পরিবারকে নিঃস্ব করেছে। এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের পদধারী মাফিয়া সিন্ডিকেটের নেতারা বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।”

মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। তার ভাষায়, “আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের করা মিথ্যা মামলায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হতে হচ্ছে আমাকে। আমাদের কথা না শুনেই কিছু গণমাধ্যম একতরফাভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছে, এতে সত্যটা মানুষের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছায়নি।”

এ প্রতিবেদনে বর্ণিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আজিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img