রবিবার | ২৩ নভেম্বর | ২০২৫

পশ্চিম তীর থেকে ১০ ফিলিস্তিনিকে তুলে নিয়ে গেছে ইসরাইলি বাহিনী

পশ্চিম তীরের বেথলেহেমের জাতারা এলাকায় হামলা চালিয়ে তিন ফিলিস্তিনিকে আহত এবং অন্তত ১০ জনকে তুলে নিয়ে গেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলি বাহিনী।

শনিবার (২২ নভেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী বেথলেহেম শহরের জাতারা এলাকায় একটি ফিলিস্তিনি বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুই ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে মারধর করেছে।

ওয়াফা আরও জানায়, হামলার সময় বাড়ির আশপাশে ইসরাইলি বাহিনী টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে আরেকজন ফিলিস্তিনি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়।

নাবলাসে ৯ জন গ্রেপ্তার, আটক আইনপ্রণেতা তিরাউই ও দুই ছেলে

উত্তরাঞ্চলীয় নাবলাস শহরে ইসরাইলি বাহিনী নয়জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে।
আটকদের মধ্যে আছেন ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের সদস্য জামাল তিরাউই এবং তার দুই ছেলে।

গ্রেপ্তারের আগে ইসরাইলি বাহিনী নাবলাসের বালাতা শরণার্থী শিবিরে তিরাউইয়ের বাড়িতে হামলা চালায়।

এছাড়াও পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের শহর তুলকারেমে এক তরুণ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।

হেবরনে চতুর্থ দিনের মতো হামলা, ঘরবাড়িতে ভাঙচুর, ৬০ জনকে আটক

দক্ষিণাঞ্চলের শহর হেবরনে ইসরাইলি বাহিনী টানা চতুর্থ দিনের মতো ডজন ডজন বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র আনাদোলুকে জানিয়েছে, অভিযানের সময় ঘরবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।

সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, প্রায় ৬০ জন ফিলিস্তিনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

গাজ্জা যুদ্ধের পর সহিংসতা আরও বেড়েছে

অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজ্জায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইল পশ্চিম তীরে আক্রমণ ও আগ্রাসন আরও তীব্র করেছে। এই সময়ের মধ্যে হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত, প্রায় ১১,০০০ আহত, এবং ২০,০০০-এর বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি: “এগুলো সন্ত্রাসী হামলা”

শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাবলাস, রামাল্লাহ, বেথলেহেম ও হেবরনে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে অবৈধ ইসরাইলি বসতিদের সহিংসতাকে “সন্ত্রাসী হামলা” হিসেবে বর্ণনা করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলাগুলো একটি “বিপজ্জনক এবং চলমান উত্তেজনা”, যা দখলদার সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত জাতিগত শূন্যীকরণ ও জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি পরিকল্পনাকে সহজতর করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতির অংশ।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরাইলি সরকারের উগ্র নীতি বসতিদের আরও অপরাধে উসকে দিচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি শহর, গ্রাম ও শরণার্থী শিবিরে সংগঠিত সহিংসতা ও সন্ত্রাস বাড়িয়ে তুলছে।

আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বাহিনীর দাবি

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাবি জানায়, দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে ফিলিস্তিনি জনগণকে সুরক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ও শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠন করতে হবে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়, এই “নৃশংস অপরাধের” দায়ীদের আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটোর

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img