ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রথম লক্ষ্য হলো নিজেদের উৎপাদন শক্তিশালী করা এবং দেশীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া বলে জানিয়েছেন দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী নূর জালাল জালালি।
তিনি বলেন, “আমাদের ২০০-র বেশি উৎপাদন কারখানা রয়েছে, যার মধ্যে চারটি কারখানা জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) সনদপ্রাপ্ত। এই সনদ আমরা কিছু বিদেশি ও সংস্থার কাছে উপস্থাপন করেছি। অন্য কারখানাগুলোকেও এই মানে পৌঁছাতে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি। আমাদের নিজস্ব উৎপাদন রয়েছে, যদিও তা পুরোপুরি যথেষ্ট নয়। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো নিজেদের উৎপাদন শক্তিশালী করা এবং দেশীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া।”
কুনার প্রদেশে অসম্পূর্ণ থাকা ২০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মাণকাজ পুনরায় শুরুর অনুষ্ঠানে তিন এসব কথা বলেন।
নূর জালাল জালালি বলেন, দেশের ওষুধ-সংকট নিরসনে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, যা শিগগিরই সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে বর্তমানে ২০০টির বেশি ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বেসরকারি খাতে আরও বেশি সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যপথ বন্ধ করে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ, কারণ তারা বলে,‘আমি তোমার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, তুমি কেন আমাকে ছেড়ে গেলে? তুমি যাই করবে, আগে আমাকে জিজ্ঞেস করবে, আমার দিকে ফিরে আসবে।’ কিন্তু আমাদের আফগানরা স্বাধীন। যারা এত আত্মত্যাগ করেছে, তারা কখনো দাসত্ব গ্রহণ করবে না। আমাদের নিজেদের ব্যবস্থাটি আমাদেরই চালাতে দিন। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সম্পর্কে আপনাদের জানানো হবে। স্বাস্থ্য, যন্ত্রপাতি, সক্ষমতা ও ওষুধের ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফত জামান বলেন, “এই হাসপাতালটির ধারণক্ষমতা হবে ২০০ শয্যা। ভবনটির নির্মাণকাজ আগে অসম্পূর্ণ ছিল, যা এখন পুনরায় শুরু হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৭৮ মিলিয়ন আফগানি।”
সূত্র: তোলো নিউজ









