৫ম ইস্তাম্বুল শিক্ষা সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের করুণ বাস্তবতা তুলে ধরেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি তুরস্কের ফার্স্ট লেডি বা রজব তাইয়্যেব এরদোগানের স্ত্রী আমিনা এরদোগান।
তিনি বলেন, ২০২৪ গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে এখনো ২৫ কোটি ১০ লাখ শিশু ও তরুণ-তরুণী শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাঁর ভাষায়, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে যেখানে মাত্র ৩ শতাংশ শিশু স্কুলের বাইরে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে সেই হার ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) তুরস্কের মারিফ ফাউন্ডেশন উদ্যোগে রাজনধানী ইস্তাম্বুলে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল, শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বকে সুস্থ করা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি লাতিফা আল-দরুবি, তুরস্কের জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রী ইউসুফ তেকিন এবং মারিফ ফাউন্ডেশনের প্রধান মাহমুদ ওজদিল।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আমিনা এরদোগান বলেন, শিক্ষা এমন এক শক্তি, যা মানবতার আত্মাকে পুষ্ট করে, ক্ষত সারায় এবং অন্ধকার দূর করে। ন্যায়ভিত্তিক বিশ্ব গড়তে সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করা পূর্বশর্ত।
সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত শিক্ষাব্যবস্থার হৃদয়বিদারক চিত্র তুলে ধরে সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি বা প্রেসিডেন্ড আহমদ শর’আ আল জুলানীর স্ত্রী লাতিফা আল-দরুবি বলেন, হাজারো স্কুল ধ্বংস হয়েছে, এবং এখনো প্রতি তিনজন শিশুর একজন শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, শিশুরা ছাদহীন ভবনে ক্লাস করছে, মোমবাতির আলোয় গৃহপাঠ করছে। তবে সব ধ্বংসের মধ্যেও তিনি আশাবাদ হারাননি। তাঁর ভাষায়, প্রতিভাকে ধ্বংস করা যায় না। বিজ্ঞান, জ্ঞান এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সিরিয়া আবারও পুনরুত্থানের পথ খুঁজে পাবে, এ আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মেলন শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমিনা এরদোগান জানান, তিনি সিরিয়ার ফার্স্ট লেডির সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে এমন “বন্ধুত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে” এ আশা প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: ইয়ানি সাফক









