দামেস্কের ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদে ফজরের নামাজে অংশ নিয়ে সিরিয়ার মুক্তির প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করলেন সিরিয়া বিপ্লবের প্রধান নেতা ও দেশটির বর্তামান প্রেসিডেন্ট আহমদ আল শার’আ আল জুলানী। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়াকে তিনি একটি “শক্তিশালী ও ন্যায়ভিত্তিক” রাষ্ট্র হিসেবে পুনর্গঠন করবেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সিরিয়া বিপ্লবের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০২৪ সালের এদিন সুন্নি মুসলিমদের অভিযানে পতন ঘটে সিরিয়ার স্বৈরশাক বাসার আল-আসদের।
নামাজ শেষে দেওয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা’আ বলেন, সরকার যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের কাজ দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নেবে। আগামীর চ্যালেঞ্জগুলো সিরিয়াবাসী “একসঙ্গে” মোকাবিলা করবে এবং দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পুনরুদ্ধার করা হবে।
এসময় তিনি স্মরণ করেন ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরের কথা। সিরিয়ার ক্ষমতা দখলের পর প্রথমে তিনি সৌদি আরব সফর, যেখানে তিনি উমরা আদায় করেন এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছ থেকে কাবার গিলাফের একটি অংশ উপহার পান।
তিনি বলেন, এই কাপড়ের টুকরো উমাইয়া মসজিদে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা সৌদি আরব ও সিরিয়ার সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে রাখা হয়েছে।
তিনি দামেস্কে বিজয়ী হয়ে প্রবেশ করা যোদ্ধাদের ত্যাগ ও বীরত্বের প্রশংসা করে বলেন, এই বিজয়কে রক্ষা করা এবং এর ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়াই এখন সমস্ত সিরিয়াবাসীর সামনে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। মুক্তির পর অর্জিত সব সাফল্য ধরে রাখা সরকার ও জনগণের যৌথ দায়িত্ব।
সিরিয়া বিপ্লবের এই প্রধান নেতা বলেন, পুনর্গঠনের কাজ “উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—পুরো দেশজুড়ে” বিস্তৃত হবে। নতুন প্রশাসন এমন সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায়, যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেবে। বক্তব্যের শেষে তিনি জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতার আহ্বান জানান।
সূত্র: সানা নিউজ









