আফগানদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার ওপর আবারও জোর দিয়েছেন ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াকুব মুজাহিদ।
তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে যেন কোনোভাবেই অবিশ্বাস ও বিভেদ গড়ে উঠতে না দেওয়া হয়।
কান্দাহারে একটি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
মাওলানা ইয়াকুব বলেন, “এই ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতার জন্য তোমাদের সমর্থন প্রয়োজন। তোমরা ব্যবস্থাকে কোনো ধরনের সমর্থন থেকে বিরত থাকবে না। এই ব্যবস্থা তোমাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।”
তিনি বলেন, “মাদরাসাগুলোকে সমর্থন করুন, ঐক্য সংরক্ষণ করুন, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন এবং নিজেদেরকে বিভেদ, ঘৃণা ও সমস্যার পথ থেকে দূরে রাখুন।”
তিনি আরও বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়ার ব্যবস্থার শক্তি ও স্থায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে দেশের জনগণের সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।
আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়া অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আফগানিস্তানকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “এই ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতার জন্য আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন। তোমরা ব্যবস্থাকে কোনো ধরনের সমর্থন থেকে বিরত থাকবে না। এই ব্যবস্থা তোমাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।”
এদিকে, একই সময়ে আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষামন্ত্রীও কাবুলের একটি জিহাদি মাদরাসায় দেওয়া বক্তব্যে জনগণকে সতর্ক করে বলেন, কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে অবিশ্বাস ও বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, এবং জনগণের উচিত ইসলামের শত্রুদের প্রচারণার প্রতি কোনো গুরুত্ব না দেওয়া।
উচ্চশিক্ষামন্ত্রী বলেন, “তোমাদের ঈমান শক্তিশালী করো, আকিদা সংরক্ষণ করো এবং নৈতিকতা বজায় রাখো। এই ফাঁপা প্রচারণায় প্রভাবিত হওয়ার চেষ্টা করো না। এরা মুনাফিক ও ইসলামের শত্রু, যারা সমাজে অবিশ্বাস ও বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়।”
অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুঈন গুল সামকানি বলেন, সমাজকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে জনগণের দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে শর্ত হলো, সেসব দাবি যেন শরিয়াহ ও আফগান রীতিনীতির পরিপন্থী না হয়।
এই বক্তব্যগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন আফগানিস্তানের ইসলামি ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা জোরদার, সামাজিক সংহতি রক্ষা এবং বিভেদ প্রতিরোধকে মৌলিক স্তম্ভ হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
ইমারাতে ইসলামিয়ার কর্মকর্তারা বারবার বলে আসছেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রচারণামূলক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনগণের সহযোগিতা ও পারস্পরিক আস্থা অপরিহার্য।
তাঁদের মতে, জাতীয় ঐক্য আফগানিস্তানের অগ্রগতি, দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করার পথ প্রশস্ত করতে পারে।
সূত্র: তোলো নিউজ










