পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি ও মুসলিম বিশ্বের অন্যতম আলেমেদ্বীন মুফতী ত্বকী উসমানী পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আজীবন দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, বিচারের অধীনে জবাবদিহিতা থেকে কাউকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করা ইসলামি নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এক জনসমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুফতী ত্বকী উসমানী বলেন, ইসলামে কাউকেই আইনের ঊর্ধ্বে রাখা হয়নি। শাসক, সামরিক নেতা ও সাধারণ নাগরিক, সবাই নিজ নিজ কর্মকাণ্ডের জন্য সমানভাবে জবাবদিহির আওতায় থাকেন।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতাই একটি ইসলামি ব্যবস্থার মূল ভিত্তি, আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের জন্য স্থায়ী দায়মুক্তি শরিয়তের মূল চেতনার পরিপন্থী।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণের মধ্যে আইনি পার্থক্য তৈরি হলে তা জনগণের আস্থা নষ্ট করে এবং সমাজে অবিচারকে উৎসাহিত করে। এ ধরনের বৈষম্য একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
মুফতী ত্বকী উসমানী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক ও সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই ইসলামি মূল্যবোধ অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ করে যেসব সিদ্ধান্ত শাসনব্যবস্থা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
মুফতী ত্বকী উসমানীর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের বাড়তি ক্ষমতা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিষয়টি জনসাধারণ ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সমালোচকদের মতে, অতিরিক্ত সুরক্ষা ও দায়মুক্তি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে দুর্বল করে দেয়।
সূত্র: আরিয়ানা নিউজ











