খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে ইসরাইলি নৃশংসতা ও গণহত্যার কবলে থাকা গাজ্জাবাসীকে স্মরণ করলেন নতুন পোপ লিও চতুর্দশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় পোপ হিসেবে নিজের প্রথম ক্রিসমাস বা বড়দিনের ভাষণ দিয়েছেন নতুন পোপ লিও চতুর্দশ। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বড়দিনের বক্তব্যে তিনি গাজ্জাবাসীকে স্মরণ করেন।
পোপ লিও তার ভাষণে বলেন, যেহেতু ঈশ্বরের বাণী মানবদেহ ধারণ করেছে, তাই আজ মানবজাতি নিজেই যেন ঈশ্বরের সেই আহ্বান বহন করছে, যিনি আমাদের কাছে আসতে চান। সেই বাণী আমাদের মাঝেই তাঁর নাজুক তাঁবু স্থাপন করেছে। সুতরাং আমরা কীভাবে গাজ্জার সেই তাঁবুগুলোর কথা ভুলে থাকতে পারি, যেগুলো টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে ঝড়-বৃষ্টি ও শীতের মধ্যে পড়ে আছে?
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষের কষ্টও আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। একইভাবে, যেসব মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছে, তাদের দুরবস্থাও আমাদের চোখে পড়া উচিত।
গাজ্জা গণহত্যা প্রসঙ্গে বলেন, যুদ্ধের কারণে যে অসহায় জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের জীবন কতটা ভঙ্গুর তা স্পষ্ট হয়ে উঠে। চলমান বা সদ্য শেষ হওয়া যুদ্ধগুলো কেবল ধ্বংসস্তূপ আর গভীর ক্ষতই রেখে যায়।
নবনির্বাচিত এই আমেরিকান পোপ আরো বলেন, যিশু চান আমরা মানুষের কষ্টকে স্পর্শ করি। অন্যের যন্ত্রণাক্লিষ্ট শরীর ও জীবনের বাস্তবতা অনুভব করি। তিনি চান না আমরা নিজেদের নিরাপদ গণ্ডির ভেতরে লুকিয়ে থাকি। বরং তিনি চান, আমরা যেনো অন্য মানুষের জীবনের বাস্তবতায় প্রবেশ করে মানবিক মমতা ও সহানুভূতির শক্তি উপলব্ধি করি।
গাজ্জা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইসরাইল গাজ্জায় ৭১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। পুরো গাজ্জা উপত্যকাকেও প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে অবৈধ রাষ্ট্রটির সেনারা।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটোর











