আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের দমন-পীড়ন ও আগ্রাসনের ইতিহাস স্মরণ করে ইমারাতে ইসলামিয়ার পানি ও জ্বালানি মন্ত্রী মোল্লা আবদুল লতিফ মানসুর বলেছেন, এই আগ্রাসনের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে ১৯৭৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর, যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করে। আদর্শপ্রনিত সহযোগী গোষ্ঠী খালক ও পারচামের সহায়তায় সোভিয়েতরা তাদের ঔপনিবেশিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে এবং ভারত মহাসাগর পর্যন্ত নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়।
এ সংঘাতে আফগানদের কাছে সোভিয়েত সেনাদের পরাজয়ের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এটি ছিল সোভিয়েত সাম্রাজ্য ও লাল সেনাবাহিনীর ৭০ বছরের ইতিহাসে প্রথম বড় পরাজয়; এটি নাস্তিক কমিউনিজম ও সোভিয়েত সাম্রাজ্যের নিঃশেষ বা পতনের স্পষ্ট সংকেত।
আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের ৪৬ বছর বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
মোল্লা মানসুর বলেন, রাশিয়ানরা আফগানিস্তান দখলকে একটি সহজ ও দ্রুত বিজয় হিসেবে বিবেচনা করেছিল; তারা আফগান জনগণের ঐতিহাসিক চেতনা, সাংস্কৃতিক পরিচয়, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং গভীর দেশপ্রেমিক মনোভাবকে বুঝতে ব্যর্থ হয়। ফলত প্রত্যাশিত বিজয়ের বদলে আফগানিস্তান সোভিয়েতদের জন্য এক ভয়াবহ ও বিষাক্ত চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, আফগান জনগণের সঙ্গে টানা নয় বছরেরও বেশি সময় ধরে কঠোর ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সোভিয়েত বাহিনী। দীর্ঘ এই যুদ্ধে তারা শেষ পর্যন্ত লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয় এবং আফগানিস্তান থেকে অপমানজনকভাবে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
বক্তব্যের শেষে তিনি সব আফগান জনগণের প্রতি আহ্বান জানান যে, এই বিপর্যয়ের পেছনে থাকা অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত কারণগুলো গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন করুণ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার ওপর তিনি জোর দেন।
সূত্র: হুরিয়াত রেডিও











