মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

আসাদপন্থীদের হামলার জেরে লাতাকিয়া ও তারতুসে শার’আ সরকারের সেনা মোতায়েন

লাতাকিয়া ও তারতুসে আসাদপন্থীদের হামলার জেরে সেনা মোতায়েন করেছে সিরিয়ার আহমদ শার’আর সরকার।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লাতাকিয়া ও তারতুস শহরে আসাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সাধারণ নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোয় রোববার শহর দুটির কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ জানায়, বেআইনি গোষ্ঠীগুলোর হামলা বেড়ে যাওয়ায় শার’আ সরকারের বেশ কয়েকটি সেনা ইউনিট ইতিমধ্যে সাঁজোয়া যানসহ শহরে প্রবেশ করেছে।

অপরদিকে দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা সানাতে জানানো হয়, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে শহর দুটির নিরাপত্তা বজায় রাখা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনীর একমাত্র লক্ষ্য।

এর আগে রোববার লাতাকিয়ায় বিক্ষোভ চলাকালে সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের অবশিষ্ট সমর্থকদের হামলায় ৩ জন নিহত ও অন্তত ৬০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুতে জানানো হয়, তারতুস ছাড়াও সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় হামা ও হোমস প্রদেশেও আসাদপন্থীরা বিক্ষোভ করেছিলো। এই বিক্ষোভের ডাক দেয় দেশটির আলাওয়ি সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান গাজাল গাজাল।

শহরগুলোতে বিদ্যমান নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতেই এসব বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা সিরিয়ায় ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা চালুর দাবী জানায় এবং আহমদ শার’আর দামেস্ক সরকারের বিরোধিতা করে স্লোগান দেয়।

এছাড়া লাতাকিয়া ও জাবলেহ এলাকায় কিছু বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনী ও তাদের যানবাহনের ওপরও হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার আলাওয়ী শিয়াদের প্রধান গাজাল সাবেক বাথ শাসনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। হোমসের আলাওয়ি অধ্যুষিত এলাকার এক মসজিদে হামলায় ৮জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। ৮জন নিহতের ঘটনায় তিনি ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা ও আলাওয়ীদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষারও দাবী জানিয়েছিলেন।

এদিকে নতুন সিরীয় প্রশাসন দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং অস্থিরতা সৃষ্টিকারী সাবেক শাসনামলের অবশিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে বলে জানা গেছে।

প্রায় ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গণ-বিপ্লবের মুখে সিরিয়ার স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ গত বছর রাশিয়ায় পালিয়ে যান, যার মাধ্যমে ১৯৬৩ সাল থেকে চলা বাথ পার্টির শাসনের অবসান ঘটে। এরপর জানুয়ারিতে আহমদ আল-শারা’র নেতৃত্বে একটি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img

সর্বশেষ