বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি দলের সাক্ষাত

ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বর্বরতা ও নৃশংসতার প্রেক্ষিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল আজ (২৭ মে) ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাত করেন।

এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি রেজাউল করীমের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাসের কাছে একটি সংহতি পত্র তুলে দেওয়া হয়।

প্রেরিত চিঠিতে এবং পারস্পরিক আলোচনায় সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলায় নিহতদের শাহাদাতের মর্যাদা প্রাপ্তির জন্য দোয়া এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানান চরমোনাই পীর।

চরমোনাই পীর তার প্রেরিত চিঠিতে একক স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার মুক্তি সংগ্রামে একাত্মত্তা পোষণ করেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ নুরুল করীম।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ভুমিকার ভুয়সি প্রসংশা করেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রদূতকে বলেন, প্রতি বছর ১৪ মে বাংলাদেশে সর্বস্তরের নাগরিকদের সমন্বয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবীতে ও ইসরাইলের বর্ররতার বিরুদ্ধে “নাকাবা দিবস“ পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেইসাথে মুসলিম উম্মাহর মনের গহীনে প্রথম কেবলা উদ্ধারের বাসনা উজ্জীবিত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে “ইসরাইল ব্যতিত“ শব্দ তুলে দেয়ার ব্যাপারে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও সরকারের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ইসলামী আন্দোলন বাাংলাদেশের নেতৃত্ব।

সৌহার্দপূর্ণ আলোচনায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জনগণ, সরকার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং অব্যাহত সমর্থন প্রত্যাশা করেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img