আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা ও ন্যাটো প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মাঝেই দেশটির বেশিরভাগ জেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে তালেবান। কিন্তু তালেবানের সাথে মার্কিনপন্থী আফগান সরকারের সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাই কাবুলে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি) জানায়, এ সপ্তাহে কাবুল থেকে বেলজিয়াম দূতাবাসের সব কূটনীতিকরা চলে গেছেন। অস্ট্রেলিয়া মে মাসে তাদের দূতাবাসে বন্ধ করে দেয়। ফ্রান্সের দূতাবাসও প্রায় খালি। ব্রিটেন এবং অন্যরা ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে।
বিবিসি আরও জানায়, কাবুলের অনেক দূতাবাস এবং ত্রাণ সংস্থার অফিসগুলো বিস্ফোরক নিরোধী দেয়াল এবং কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা। তারপরও নিরাপত্তা এবং কোভিড পরিস্থিতির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ধীরে ধীরে কাবুলে দূতাবাসগুলোতে কর্মীর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু এখনকার অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে অনেকেই ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছেন যাতে বিপদ বাড়লে দ্রুত চলে যাওয়া যায়।
তবে সবার নজর আমেরিকার দিকে। ব্রিটেন বরাবরের মত আমেরিকানদের সিদ্ধান্ত-গতিবিধি খেয়াল করছে। শুধু ব্রিটেন নয়, কাবুলে বহু বিদেশি দূতাবাসই অপেক্ষা করছে আমেরিকানরা কী করে।
সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাসে এক বার্তায় জানায়, কাবুলে আমেরিকার দূতাবাস খোলা এবং খোলাই থাকবে। তবে এটি শেষ পর্যন্ত থাকবে নাকি অন্য দূতাবাসগুলোকে সাহস দেওয়ার জন্য আমেরিকা এমনটি বলেছে সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।