শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

আফগানিস্তানের জন্য যে অর্থ বহন করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

spot_imgspot_img

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আফগানিস্তান ছিল তার সবচেয়ে বেশি দিন স্থায়ী সঙ্ঘাত। ১৯ বছর কেটে গেছে। কিন্তু এখনো তালেবান তাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, তাদের ২,৪০০-এর বেশি সৈন্যকে হারিয়েছে। তারপর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য তালেবানের সাথে শান্তিচুক্তিতেও সই করেছে। কিন্তু তবুও হামলা বন্ধ হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে, অঙ্গহানির শিকার হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট বিতর্কে আফগানিস্তান নিয়ে কিছু বলেননি।

আমেরিকানরা এখন ভোটে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে, যিনিই প্রেসিডেন্ট হন না কেন, আফগান কৌশল কী হবে?

ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদ থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাভিষয়ক পরিচালক আমিনা খান বলেন, ট্রাম্প দায়িত্বে থেকে গেলে আমরা বর্তমান নীতির অনুসরণ দেখতে পাব। কিন্তু বাইডেন নির্বাচিত হলে আমরা ইরানের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল, তেমনভাবে প্রক্রিয়াটির পতন দেখতে পাব না।

ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ইরানের সাথে করা বহুপক্ষীয় পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তালেবানের সাথে শান্তিচুক্তিতে সই করে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পথ তৈরী করে যুক্তরাষ্ট্র। আবার এর মাধ্যমেই আন্তঃআফগান আলোচনার পথও তৈরী হয়। সেপ্টেম্বর থেকে এই আলোচনা চললেও তাকে সহিংসতা হ্রাস পায়নি।

ট্রাম্প তার আফগান কৌশলের অংশ হিসেবে ৮,৬০০ মার্কিন সৈন্য প্রত্যহার করেছেন। কিন্তু তিনি আফগান সঙ্ঘাতের ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত কী করবেন, তা নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দেওয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

আগামী বছরের মধ্যে আমেরিকান সৈন্যদের দেশে ফেরার কথা। কিন্তু ৭ অক্টোবর এক টুইটে ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে তিনি চান ক্রিসমাসের মধ্যেই সৈন্যরা ফিরে আসুক।

আমিনা বলেন, নির্বাচনে যেই জয়ী হোক না কেন, তালেবান অবশ্যই চাপে পড়বে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img