সিরিয়ার দীর্ঘ এক যুগের বিপ্লবে শহীদ হওয়া সন্তানদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনে ঈদের খুশি উদযাপন করেছেন প্রেসিডেন্ট আহমদ শার’আ আল জুলানী এবং তার স্ত্রী লতিফা আদ-দুরুবী।
সোমবার (৩১ মার্চ) সিরিয়ার আধুনিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট ভবন শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে শর’আ ও তার স্ত্রী লতিফাকে প্রেসিডেন্ট ভবনের ভেতরে শিশুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে, আদর করতে এবং মুখরোচক খাবারের ব্যবস্থা করতে দেখা যায়।
বাসভবনের বাইরেও ছিল নানা খেলাধুলার আয়োজন ও খেলনার ব্যবস্থা। সেখানে শিশুরা খেলাধুলায় ব্যস্ত ছিল, আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছিল। প্রেসিডেন্ট শর’আ ও তার স্ত্রী লতিফা ঘুরে ঘুরে শিশুদের আদর করছিলেন, নবীর সুন্নাত হিসেবে পিতৃহারা এতিম শহীদী সন্তানদের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন এবং তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছিলেন।
সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, জাতি-রাষ্ট্র গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট ভবন শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এটুকুতেই থেমে থাকেননি প্রেসিডেন্ট; শহীদী পরিবার ও সাধারণ জনগণের জন্যও ভবনটি খোলা রাখা হয়।
আসাদ পরিবারের শাসনামলে (১৯৭১-২০২৪) প্রেসিডেন্ট ভবন ছিল স্বৈরাচার ও জুলুমের প্রতীক। বিপ্লব চলাকালীন প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে শহীদের সন্তানদের প্রায়ই বলতে শোনা যেত, “আমাদের বাবা তার (বাশার আল-আসাদ) কারণে শহীদ হয়েছেন। সে যে ভবনে নিরাপদ অনুভব করে, ইনশাআল্লাহ একদিন সেটি আমাদের হবে। আমরা সেখানে বন্ধুদের নিয়ে খেলবো।”