বুধবার, মে ২১, ২০২৫

‘সময়ক্ষেপণ না করে কিটের অনুমোদন দিন, অন্যথায় ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না’

spot_imgspot_img

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের কিটের অনুমোদন দিন। এভাবে সময়ক্ষেপণ করবেন না, আটকে রাখবেন না। ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।

মঙ্গলবার (৩ জুন) তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর একটি বক্তব্যে এন্টিবায়োটিক ঔষধের নামের ১ম অক্ষর টি’ এর স্থলে পি’ লেখেন। এতে পাঠকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়া। তাছাড়া তথ্যগত বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। সুইজারল্যান্ডের রসে লি: উৎপাদিত ওষুধটির নাম এ্যাক্টেড-২০এমএল। এই ওষুধটি গুরুতর শ্বাসকষ্টের রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সোমবার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য এ ওষুধ আনলে তিনি এর দাম জানতে চান। প্রতি ডোজ ১০ হাজার টাকা করে ৮ ডোজের দাম ৮০ হাজার টাকা শুনে তিনি বলেন, এই ওষুধ আমি নেব না। যে ওষুধ বানাতে খরচ হয় ৫ হাজার টাকা, তার দাম কেন ৮০ হাজার টাকা হবে? আমি না হয় নিতে পারবো, সাধারণ মানুষ বাঁচবে কিভাবে? করোনা চিকিৎসা করে মানুষ তো নিঃস্ব হয়ে যাবে। ওষুধের অতিরিক্ত দামের প্রতিবাদে আমি এই ওষুধ নিচ্ছি না। সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত উদ্যোগ নিন, ওষুধের দাম কমান। করোনার চেয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠছে ওষুধের দাম।

তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে গলায় একটু ব্যাথা আছে। দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তিনি দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।

৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা অনেক দিন থেকে কিডনির অসুখে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img