বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, জনগণ যাতে ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির ঢাকার সমাবেশে না আসে তার জন্য পুলিশ ভীতি সঞ্চার করে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের এক কর্মসভায় এসব কথা বলেন।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় আমাদের শান্তিপুর্ণ সমাবেশ আছে। সে সময় পুলিশ সার্কুলার দিয়েছে, তারা ১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান চালাবে। কোথায়? হোটেল-রেস্তোরায়, কমিউনিটি সেন্টারে, মেসে বাড়িতে। কেন? জনগণ যাতে এসব স্থানে না থাকতে পারে। জনগণ যাতে সভাসমাবেশে না আসতে পারে। ঢাকা বিভাগের লোকজন যেন না আসতে পারে এজন্য এসব অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘরে ঘরে ডিস্টার্ব করছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে।’ তিনি এ অভিযান ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার। উনারা বলেছেন, যানজট হবে। শনিবার সরকারি ছুটির দিন। অতএব এখানে কোনো যানজট হবে না। আমরা চিঠি দিয়েছি, নয়াপল্টনে সমাবেশ করা জন্য। সেখানে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি। চিঠি দিয়েছি এক জায়গার জন্য, তারা সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে অন্য জায়গায়।
তিনি আরও বলেন, যে জায়গার জন্য চিঠি দিয়েছি সেই পল্টন কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ হবে ইনশাল্লাহ। তিনি এ সমাবেশের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন হচ্ছে চাল-ডাল-তেল-লবণের দাম কমানোর জন্য। আমাদের আন্দোলন লোডশেডিং বন্ধ করার জন্য। আমাদের আন্দোলন জনগণ যেন কথা বলার অধিকার পায়, সভাসমাবেশ করতে পারে সেজন্য। আমাদের আন্দোলন জনগণের জন্য আন্দোলন। এ আন্দোলনে আমাদের প্রাণপ্রিয় ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। এভাবে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা হত্যার পথ বেছে নিয়েছেন, দমনের পথ বেছে নিয়েছেন।