গত ৬ মাসে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে শতাধিক নারী নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে বলা হয়, মাদক পাচার, পতিতাবৃত্তি ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির উদ্দেশ্যে মানব পাচারকারী চক্রগুলো ভারত-নেপাল সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত ৬ মাসে শতাধিক নারী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এতে আরো বলা হয়, গত কয়েকদিনের অভিযানে নিখোঁজ নারীদের মধ্যে মাত্র ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যে ৪জন মেয়ে একই পরিবারের ছিলো।
এমন ঘটনা সীমান্তের দুই পাড়েই ভীতি সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি দু’দেশের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার কমিশন পর্যন্ত পৌঁছেছে।
মানবাধিকার আইনজীবী এস কে ঝা
ভারতের জাতীয় ও বিহারের মানবাধিকার কমিশনের কাছে নিখোঁজের প্রমাণ সহ পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, চলতি বছরের জুলাইয়ে রক্সৌল থেকে ১০ জন, রামগড়ওয়া থেকে ৩ জন এবং আদাপুর থেকে ৪ জন মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। আগস্টে রক্সৌল মহকুমার ভিলাহি এবং কোদিহার সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১৮ জন মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া সেপ্টেম্বরে মহকুমার বিভিন্ন স্থান থেকে একজন বিবাহিত মহিলা সহ ১৭ জন মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। একইভাবে, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে ১৫ জন করে মোট ৮৩ জন মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে।
তিনি বলেন, মানব ও মাদক পাচারকারীরা সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বিয়ে, পতিতাবৃত্তি, মাদক পাচার ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির জন্য গোষ্ঠীগুলো এসব নারীদের ব্যবহার করছে।









