বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের আহবানে সাড়া দিয়ে ১ম দিনের ন্যায় ২য় দিনেও গণ-বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে বীর চট্টলা খ্যাত চট্টগ্রামের জনসাধারণ।
শনিবার (৩ আগস্ট) শহরটির প্রধান প্রধান সড়কগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
নগরীতে চকবাজার, জামালখান, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগার পাস, লালখান বাজার, বটতলী, আন্দরকিল্লা, টেরিবাজার সহ প্রায় সকল এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক দিয়ে সর্বসাধারণকে নিউ মার্কেট মোড়ে শিক্ষার্থীদের জনসমাগমের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। এসময় তাদের ‘দফা এক দাবী এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ’, ‘শেখ হাসিনা ভুয়া’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘বোত দিন হাইয়ু, আর ন হাইয়ু’ সহ বিভিন্ন ধরণের স্লোগান ও সমস্বরে দেশাত্মবোধক গান গাইতে দেখা যায়।
জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলে নিউ মার্কেট মোড় থেকে ছড়িয়ে থাকা নগরীর প্রধান প্রধান এলাকাগুলোর সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এর আগে শুক্রবারও জুমা শেষে বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে জনসাধারণের ঢল নামে। বীর চট্টলার বীরত্বের প্রতীক আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে জুমা পরবর্তী শহীদদের জন্য দোয়া শেষ করে লোকজন গণ-বিক্ষোভে অংশ নেয়। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এছাড়া দেশের অন্যতম প্রভাবশালী আলেম হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মুফতী হারুন ইজহার নগরীর লালখান বাজার মাদরাসায় জুমা শেষে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে ছাত্রদের সাথে সংহতির ঘোষণা দেন। সরকারকে গুম,খুন, হত্যা বন্ধ করে অবিলম্বে ছাত্রদের দাবী মেনে নেওয়ার আহবান জানান।
অপরদিকে জামেয়া হাটহাজারী ও পটিয়ার মতো চট্টগ্রামের বড় বড় মাদরাসাগুলোর ছাত্ররাও এদিন সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মাদরাসা সংলগ্ন সড়কে বেরিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, ‘বোত দিন হাইয়ু, আর ন হাইয়ু’ চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষার স্লোগানটির শাব্দিক অর্থ, বহুদিন খেয়েছেন। আর খেতে হবে না। যার ভাব অর্থ, বহুদিন বোকা বানিয়েছেন। অত্যাচার ও দূর্নীতি করেছেন। এসব আর চলবে না।