আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের ওপর আক্রমণ চরম নিন্দনীয় ও রহস্যজনক।
বুধবার (৩ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়ে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, হাসপাতালে ভিপি নুরকে দেখে খুব কষ্ট পেয়েছি। ভিপি নুর লড়াই করেছে। হাসিনার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছে। পরবর্তী সময়ে ৫ আগস্ট যে মহান জুলাই বিপ্লব হলো সেখানেও তার বীরোচিত ভূমিকা ছিলো। দীর্ঘদিন রাজপথে যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, তাদের ওপরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যে হামলা চালিয়েছে; তা চরম নিন্দনীয় ও রহস্যজনক। তার ব্যাখ্যা দেওয়ার দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। এ আক্রমণের দায়-দায়িত্ব সরকার এড়াতে পারে না। কারণ, এই সরকারের নির্দেশেই হামলা হয়েছে নিশ্চয়ই, কোনো না কোনো নির্দেশে, এ নির্দেশ কার কাছ থেকে এসেছে; এটা বের করার দায়িত্ব সরকারের। আমি মনে করি সরকার এই কাজটি যতদ্রুত সম্ভব করবেন।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি, ইতোমধ্যে বিচার বিভাগীয় একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট খুব তাড়াতাড়ি জানতে চায়। এই আক্রমণের পেছনে কারা ছিলেন এবং উস্কানিদাতা কারা ছিলেন। সরকারের উচিত দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট জাতির সামনে পেশ করা।
নুরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, নুর এখনো খুবই অসুস্থ। তার ব্রেন হেমারেজ হয়েছে। ডাক্তার বললেন নাকের ও চোয়ালের কয়েকটি হাড় ভেঙে গেছে। তার মেরুদণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত।
নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি যতদ্রুত সম্ভব তার বিদেশে চিকিৎসা হওয়া দরকার। চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের। যেহেতু আক্রমণ সরকারের বাহিনী করেছে এবং বাংলাদেশের একজন উদীয়মান রাজনৈতিক নেতার ওপরে আক্রমণ করা হয়েছে এবং বিনা উস্কানিতে আক্রমণ চালানো হয়েছে, কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া আক্রমণ করা হয়েছে। এই আক্রমণের দায়িত্ব এবং চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। কাজেই দ্রুত এ বিষয়ে সরকার অ্যাকশন নেবে বলে আমি আশা করি।
আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আমি শুনতে পেলাম, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নুরকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। এটা নিয়ে যেন দীর্ঘসূত্র না করা হয়। কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যেন তৈরি না করে। যতদ্রুত সম্ভব যে দেশে সবচেয়ে ভালো নিউরো চিকিৎসা হয়, সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা। সিঙ্গাপুর বা ব্যাংকক হতে পারে চিকিৎসা। পরিবারের এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করা উচিত। আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।