বুধবার | ২৪ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

নারী শিক্ষার্থীদের ‘যৌনকর্মী’ বলা ছাত্রদল নেতার বহিষ্কার দাবিতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাত ১১টার পর প্রবেশ করা ছাত্রীদের ‘বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী’ বলা ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান মিলনকে বহিষ্কারের দাবিতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিলনকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন জুলাই-৩৬ হলের ছাত্রীরা।

এ সময় তারা ‘ইভটিজারের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘নারীদের বুলিং করে, প্রশাসন কী করে?’, ‘ইভটিজারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ বলে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভ থেকে ছাত্রীরা ছাত্রদল আনিসুর রহমানের স্থায়ী বহিষ্কার, মনোনয়নপত্র বাতিল ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইওয়ার শর্ত দেন। এছাড়া সাইবার বুলিং সেল গঠন, ফেসবুকে যাবতীয় অশালীন মন্তব্যের জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

ছাত্রদল নেতাআনিসুর রহমান মিলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখ্দুম হল শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন। অভিযোগ ওঠার পর রাতে ওই নেতার পদ সাময়িক স্থগিতের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।

এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, “বিষয়টির সত্যতা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত আনিসুর রহমানের পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। সত্যতা যাচাই ও সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক শফিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ১১টার পরে হলে ফেরায়, জুলাই-৩৬ হলের ৯১ ছাত্রীকে প্রাধ্যক্ষের অফিসে তলব করে নোটিশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞপ্তির একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরদিন মঙ্গলবার সমালোচনার মুখে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে নোটিশটি প্রত্যাহার করে নেয় হল প্রশাসন। ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত একটি ফটোকার্ডের মন্তব্যের ঘরে ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমানের আইডি থেকে ছাত্রীদের ‘বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী’ বলে মন্তব্য করা হয়।

spot_img
spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img