মঙ্গলবার | ১ জুলাই | ২০২৫

শেষ রাতে আল আকসায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা; গ্রেফতার ৪০০ ফিলিস্তিনি

spot_imgspot_img

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের দখলদার বাহিনী বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোর রাতে মুসলিমদের পবিত্র মসজিদ আল আকসায় হামলা চালিয়েছে। বিপুল সংখ্যক দখলদার বাহিনীর এ হামলায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৪০০ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন ফিলিস্তিনি আইনজীবী ফিরাস আল জাবরনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মসজিদের ভেতর ও গেট থেকে প্রায় ৪০০ জনেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও দখলদার বাহিনী মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের লাঞ্ছিত করেছে। রাবার বুলেট ও বন্দুকের দ্বারা আক্রমণের ফলে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এসময় মসজিদ প্রাঙ্গনে কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়।

ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরাইলি দখলদারদের হামলায় কয়েক ডজন মুসল্লী আহত হয়েছে ও মুসল্লিদের মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি থেকে আরও  জানায়, আহতদের জন্য রেড ক্রিসেন্টের এম্বুলেন্স পরিষেবা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেয়নি দখলদার বাহিনী। শুধু তাই নয় এম্বুলেন্স গুলো লক্ষ্য করেও আক্রমণ করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে, মসজিদের ভেতরে আতশবাজি ফুটছে ও দখলদার ইসরাইলি পুলিশ মুসল্লিদের মারধর করছে।

এদিকে ইসরাইলি হামলার জবাবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস রকেট হামলা চালিয়েছে। যার অধিকাংশ আয়রন ডোম দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা হলেও একটি রকেট ইসরাইলের কারখানায় আঘাত হানে।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি আন্দোলনের বিভিন্ন দলগুলো এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি এ হামলার মূল্য দিতে হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেছেন, “আমরা পবিত্র স্থানগুলোতে সীমালংঘন করার জন্য দখলদার ইসরাইলকে সতর্ক করছি। যা একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।”

জর্ডান ও মিশর পৃথক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। উভয় দেশই এ অঞ্চলে উত্তেজনা কমানোর জন্য সাম্প্রতিক মার্কিন সমর্থিত প্রচেষ্টায় জড়িত রয়েছে।

উল্লেখ্য, রমজান মাস ও গত বছর থেকে ফিলিস্তিনিদের উপর ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্রটির সহিংসতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা এই অঞ্চলে উত্তেজনা ও উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর ও আল আরাবিয়া

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img