পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ ও
মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের।
বুধবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ শুভেচ্ছ জানান তারা।
বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসে নেতারা বলেন, ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জল পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের সকলের জীবনকে আরো উদ্ভাসিত করুন মহান আল্লাহর কাছে আমরা এই কামনা করছি। আল্লাহর নির্দেশ পালনে নবী ইব্রাহীম আ: নিজের প্রিয় সন্তানকে কুরবানি করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে নবী ইসমাঈল আ: নিজের জীবনকে উৎসর্গিত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। পশু জবাই করার সাথে সাথে আমাদের মনের পশুত্বকেও কুরবানি দিয়ে সে ইসমাঈলী চেতনায় নিজেদেরকে শানিত করতে হবে। পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাকওয়া ভিত্তিক একটি সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়।
তারা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট শাসনে নিষ্পেষণের পর জনগণ এবার প্রথম নির্ভীক চিত্তে ঈদুল আজহার আনন্দ উদযাপন করতে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্ট অপশক্তির নির্মম নির্যাতনে হতাহতদের পরিবারগুলোতেও এবারে ঈদের নির্মল আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক কামনা করছি। শহীদ পরিবারগুলোতেও ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পশুখাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে কুরবানি পশুর চড়া দাম এবং বন্যার কারণে এবার হয়তো অনেকের ঈদ আনন্দ পরিপূর্ণ করতে বাধাগ্রস্থ করবে। দরিদ্র-অসহায় মানুষও যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সামর্থবানদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। কুরবানি পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকারকে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সড়ক ও ঘর-বাড়ীর নিরাপত্তায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগীতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
নেতারা আশা প্রকাশ করেন যুদ্ধ বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্ব কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ
করবে। মিয়ানমারের উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নাগরিক অধিকার দিয়ে আরাকানে ফেরত পাঠাতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ কামনা করছি। আসরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সকল নির্যাতিত মানুষের মুক্তি কামনা করছি।
